পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ জম্মুর বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ২দিন পার। এখনও ড্রোনের উৎস খুঁজে পায়নি তদন্তকারীরা। পরিস্থিতির গুরুত্বর কথা বিবেচনা করে এনআইএ-এর হাতে তদন্তভার তুলে দিল স্বরাষ্টÉমন্ত্রক। অন্যদিকে– জম্মুর আকাশে ফের দেখা মিলেছে সন্দেহজনক ড্রোনের। সোমবার গভীররাতে ফের উপত্যকার আকাশে ঘুরতে দেখা গেছে ড্রোনটিকে। দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালান সেনা আধিকারিকরা। এরপরই বেপাত্তা হয়ে যায় ড্রোনটি।
রবিবারই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছিল এনআইএ। কিন্তু ঘটনা হল– ড্রোনের কোনও ধ্বংসাবশেষ মেলেনি। তাই পাক যোগের সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে– সেখান থেকে পাক আকাশ সীমানার দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। আর এটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। রাতের অন্ধকারে নিখুঁত হামলা চালিয়ে ফিরে যায় ড্রোনটি। এতেই তদন্তকারীদের ধারণা– ড্রোনটি কোনও নিম্নমানের ছিল না। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে এই ধরণের শক্তিশালী ড্রোন নেই। তাই ঘটনার প্রকূত কারণ ছানবিন করতে এনআইএ-এর আরও একটি দল দিল্লি থেকে জম্মুর উদ্দেশ্যে গেছে। এনআইএ ছাড়াও দিল্লি পুলিশের সন্ত্রাস দমনমূলক স্পেশাল সেলের একটি দলও জম্মু যাচ্ছে। এনআইএর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করবে এনএসজিও। এনআইএ সূত্রে খবর– জম্মুর বিমানঘাঁটিতে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তের জন্য ইসরোর সাহায্য নেওয়া হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডের বম্ব ডেটা সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের অনুমান– প্রতিটি বিস্ফোরণে ২ কিলোগ্রামের বেশি বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছে। আরডিএক্স বা ওই জাতীয় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরকের মাধ্যমেই হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
অন্যদিকে– এনআইএ সূত্রে খবর সোমবার গভীর রাতে জম্মুর কুঞ্জওয়ানি ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সুঞ্জবান সেনাঘাঁটিতে ড্রোন দেখা যায়। একেবারে ভোর রাতে আড়াইটে নাগাদ হানা দি
য়েছিল ড্রোনটি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরও গায়েব হয়ে যায় সেটি। এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রতিরক্ষা মহলে। কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান আইজিপি বিজয় কুমার বলেন– এটা খুবই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তি দিয়েই এর মোকাবিলা করতে হবে।