ইম্ফল, ১৯ জুলাই: সুপ্রিম কোর্ট সোমবার ফেসবুক পোস্টের কারণে মে মাসে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার মণিপুর-ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মী এরেনড্রোকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ‘কোভিডের বিরুদ্ধে গোবর ও গোমূত্র কাজ করে না’ এই মন্তব্য করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতের কাছে সময় চেয়েছিলেন এবং চেয়েছিলেন মামলাটি আগামীকাল পর্যন্ত স্থগিত করা হোক৷ বিচারপতিরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ জানায়, আমরা এই মতামত দিচ্ছি যে আবেদনকারীকে ধারাবাহিকভাবে আটকে রাখা অনুচ্ছেদ ২১-এর অধীনে জীবনযাপনের অধিকার এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার লঙ্ঘন হিসাবে গণ্য হবে। আমরা আজ সন্ধ্যা ৫টার মধ্যে তাকে ১০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোমূত্র, গোবরে কোভিড সারে না–এই মন্তব্যের জন্য এনএসএ মামলা দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে৷ গোমূত্র ও গোবর খেলে কোভিড-১৯ রোগ সেরে যায়, এমন আজগুবি অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাস আছে অনেকেরই৷ মনিপুরের বিজেপি সভাপতি এস টিকেন্দ্র সিংও গোমূত্র ও গোবরের উপর যথেষ্ট আস্থা রেখেছিলেন কোভিডের প্রতিকার হিসেবে৷ কিন্তু গোমূত্র ও গোবর সেই ভরসার যোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি৷ তিনি মারা যান৷ আর এটা নিয়েই তির্যক মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের এক সমাজকর্মী৷ তিনি জোর গলায় বলেছিলেন, অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাস বিজেপি নেতাকে বাঁচাতে পারল না৷ গোমূত্র ও গোবর কোভিড সারিয়ে তোলে না৷ বিজ্ঞানেই রয়েছে রোগমুক্তি৷ এই সামান্য মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয় এবং তাকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ এর ন্যায় বিচার চেয়ে ওই সমাজকর্মী এরেনড্রো লেইকোমবামের পিতা সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন৷ তার পুত্রের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পাশাপাশি তিনি এর মাধ্যমে আদালত অবমাননার অভিযোগও এনেছিলেন৷ সেই মামলার শুনানিতেই মুক্তি পেলেন এরেনড্রো৷