বিশেষ প্রতিবেদন: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭৫০টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ও দ্বীপে সেনা উপস্থিতি রয়েছে দেশটির। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলি ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার শিকার হওয়ায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে এ নিয়ে। জানা যায়, কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। মহাদেশরটির ১১টি দেশে বেশ কিছু ঘাঁটি পরিচালনা করছে আমেরিকা। ওই অঞ্চলে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ও নজরদারি চালাতে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। ইরানের চারপাশে অবস্থিত দেশগুলোতে ৪৫ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করে রেখেছে আমেরিকা। মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোতেও মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরের তথ্যানুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের ১১ দেশে প্রায় ৪৫,৪০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্সের (ডিওডি) জানিয়েছে, দেশগুলোতে মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করার পাশাপাশি আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে কতগুলি ঘাঁটি রয়েছে ডিওডি তার কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে আন্তর্জাতিক বিষয়ক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক শিকাগো কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, তুরস্ক, কুয়েত, সউদি আরব, বাহরাইন, কাতার, মিশর, আমিরশাহী, জর্ডান, সিরিয়া ও ইরাকে আমেরিকার বেশকিছু ঘাঁটি রয়েছে। এদের মধ্যেই ইরাকেই ১২টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এসকল ঘাঁটিতে কয়েক দশক ধরে সামরিক কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালানোর দাবি করে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভিন্ন দেশে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে আমেরিকা বিশ্বকে তাদের ‘শ্রেষ্ঠত্ব’ দেখাতে চায় ও এভাবেই মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে তাদের আধিপত্যবাদী নীতি ধরে রাখতে চায়।