পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ : ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের পরে এবার ‘পড়ুয়া ক্রেডিট কার্ড’। নির্বাচনী ইস্তেহারে দেওয়া আরও এক প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়িত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছাড়পত্র দেওয়া হলো মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের আরও এক প্রকল্পকে। আর বৈঠকের পরেই নবান্নে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ঘোষণা করলেন,
‘আগামী বুধবার থেকেই রাজ্যে চালু হচ্ছে পড়ুয়াদের ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প। বাংলার যুবক-যুবতীরা যাতে নিজের স্বপ্নপূরণে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই চালু করা হচ্ছে নয়া প্রকল্প। দশম শ্রেণি থেকেই পড়ুয়ারা নয়া প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।’
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের সময়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ফের সরকারে এলে পড়ুয়াদের স্বপ্নপূরণের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে। ওই কার্ডে স্নাতক, স্নতোকোত্তর, ডাক্তারি সহ উচ্চ শিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঋণ মিলবে। রাজ্য সরকার গ্যারান্টার থাকবে।
উচ্চ শিক্ষা শেষে চাকরি পাওয়ার পরে ১৫ বছর ধরে ওই ঋণ শোধ করতে হবে। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে নয়া প্রকল্পকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বৈঠকের পরে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজকের দিনটি পড়ুয়াদের। আর ছেলে মেয়ের পড়াশোনার জন্য ঘরবাড়ি বেচতে হবে না। ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের গর্ব।
রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের পাশে রয়েছে। ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ প্রকল্প আছে। সংখ্যালঘুদের জন্য ঐক্যশ্রী, এসসি এসটির জন্য শিক্ষাশ্রী আছে। এ বার এই প্রকল্পও আনা হল। দশম থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর-সহ যাবতীয় পড়াশোনার জন্য রাজ্যের তরফে এবার পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে।’
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘রাজ্যে যাঁরা অন্ততপক্ষে দশ বছর ধরে বসবাস করছেন এবং ৪০ বছরের মধ্যে যাদের বয়স তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যে টাকা ঋণ নেওয়া হবে তা চাকরি পাওয়ার এক বছর বাদ দিয়ে মেটানো শুরু করতে হবে। ঋণ শোধের জন্য ১৫ বছর সময় পাওয়া যাবে।’
অন্যদিকে, রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন হওয়ার পরেই পুরসভার ভোট করা হবে বলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘পুরসভা ভোট তো ঘরের ব্যাপার। যে কোনও দিন করানো যেতে পারে। আগে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষনা করুক। তারপর আমরা পুরভোটের দিন ঠিক ঘোষণা করে দেব। আমাদের সমস্যা নেই