কৌশিক সালুই বীরভূম :- করোনা আবহে বাতিল হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদের ঘোষিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সমস্যায় পড়েছেন বহু পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নবম ও দশম শ্রেণীর এবং উচ্চ মাধ্যমিক এর ক্ষেত্রে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুল এর মূল্যায়ন এর ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের নাম্বার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর তাতেই বিভিন্ন জায়গায় পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বীরভূমের মহ বাজারের ডামরা উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা কম নাম্বার দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখলেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নেয় পড়ুয়ারা।
বীরভূমের মহম্মদ বাজারের ডামরা উচ্চ বিদ্যালয় এর উচ্চমাধ্যমিকের প্রায় ১০০ জন পড়ুয়া স্কুলের আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নাম্বার কম দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে সকাল ৮ টা থেকে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন।
তাদের অভিযোগ অন্যান্য স্কুল ৭০ থেকে ৮০শতাংশ নাম্বার সমস্ত পড়ুয়াকে দিলেও তাদের স্কুলে ৪০থেকে ৫০ শতাংশ নাম্বার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক পড়ুয়ার আরও অভিযোগ ক্লাসে তাদের পরীক্ষার সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি শিক্ষকরা। সেই সমস্ত পরীক্ষার সঠিক মূল্যায়ন করে পর্ষদে পাঠালে তাদের নাম্বার অনেক বেশি হবে।
এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুলের নিজস্ব পরীক্ষার নাম্বারের ভিত্তিতে করার কথা ঘোষণা করেছে পর্ষদ। তাতেই সমস্যায় পড়েছেন বহু ছাত্র-ছাত্রী। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও মুক্ত করতে ইতিমধ্যেই হাজির হন স্থানীয় বিডিও এবং থানার আধিকারিক।
রাত্রি দশটা নাগাদ উপস্থিত সকল আধিকারিকদের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ উঠে যায়।ওই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সাধনা কর্মকার অমিত চক্রবর্তীরা বলেন,” আমাদের স্কুল যেভাবে মূল্যায়ন করেছে তার ভিত্তিতে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষার নাম্বার পেলে আমাদেরকে ভবিষ্যতে খুব সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
অন্যান্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে আমাদের নাম্বার অনেক কম হচ্ছে এখন। আমাদের দাবি প্রকৃত মূল্যায়ন করে নাম্বার পাঠানো হোক পর্ষদে”। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি মন্ডল বলেন,” একাদশ শ্রেণির নাম্বার বহু আগেই পাঠানো হয়েছে। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব”।