পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : চারদিন পার হলেও এখনও নিখোঁজ খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং। ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, যারা এই পরিস্থিতিতে দেশ ও রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শান্তি বজায় রাখাই প্রধান লক্ষ্য। কোনও সহিংসতার ঘটনাকে বরদাস্ত করা হবে না।
জানা গিয়েছে, অমৃতপাল সিংয়ের কাকা হরজিৎ সিং ও তার দুই সহযোগীকে সোমবার ভোরে অসমে নিয়ে আসা হয়। তার সহযোগী অপর চারজনকে গ্রেফতার করে ডিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয় রবিবার। সাতজনকে কঠোর নিরাপত্তা আইনে (এনএসএ) অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আইনে পুলিশ সন্দেহভাজনদের দেশের যেকোনও কারাগারে নিক্ষেপ করতে পারে।
উল্লেখ্য, পঞ্জাব পুলিশ বুধবার আদালতে জানায় যে, অমৃতপালকে গ্রেফতারের জন্য শনিবার থেকেই তল্লাশি অভিযান চলছে। তাঁর ১২০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশ আদালতে আরও জানিয়েছে যে, অমৃতপালের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের এই দাবি শুনে আদালত পাল্টা প্রশ্ন করে, অমৃতসরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ছিল। রাজ্যে ৮০ হাজার পুলিশ তার পরেও অমৃতপাল সেই নিরাপত্তা ডিঙিয়ে কিভাবে পালাল তা নিয়ে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পঞ্জাব পুলিশ।
এদিন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট পঞ্জাব পুলিশের কাছে খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে চেয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে। অমৃতপাল সিংয়ের পালিয়ে যাওয়াকে রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছে আদালত। কেন্দ্র অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের একটি নতুন মামলাটি গ্রহণ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। নতুন মামলায় খালিস্তানি নেতাকে ‘অভিযুক্ত নম্বর ওয়ান’ নাম দেওয়া হয়েছে।
অমৃতপাল সিংয়ের ঘটনায় শিখ সংস্থাগুলিকে খালিস্তানি সমর্থকদের বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি।