পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বেনামি নিয়োগ মামলায় রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। অতএব এই মামলায় এখনই হচ্ছে না সিবিআই তদন্ত। শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকেও নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। স্থগিতাদেশে এমনই জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন জানিয়ে দেয় রাজ্যের মুখ্য সচিব মনীশ জৈনকে এখন হাজিরা দিতে হবে না।
এসএসসিতে সুপার নিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ‘অযোগ্য’দের নিয়োগের জন্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আনা আবেদনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তা তদন্ত করে দেখুক সিবিআই। এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কিন্তু শিক্ষাসচিবের হাজিরার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেখানেও বৃহস্পতিবার একই রায় বহাল ছিল। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। শুক্রবার সকালে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই শুনানিতেই স্বস্তি পেল রাজ্য।
কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে যখন নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি, তখন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে শিক্ষকদের জন্য ফের অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়। কমিশন আদালতে বলেছে, অনেকেই তিন-চার বছর ধরে চাকরি করছেন, তাঁদের পরিবার রয়েছে, তাদের কথা ভেবেই আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। অযোগ্যদের চাকরির আর্জিও জানানো হয় এসএসসি ও রাজ্যের তরফে। যা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যয়।
আজকের শুনানির সময়, রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী বর্ষীয়ান আইনজীবী এএম সিংভি আদালতকে জানিয়েছিলেন ২৩ নভেম্বর, হাইকোর্টের একক বিচারপতি প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন যে কমিশনের দায়ের করা আবেদনটি একটি বেনামী আবেদন। ওই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তা তদন্ত করে দেখুক সিবিআই।