পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এসএসসি-র নিয়োগ সংক্রান্ত সবক’টি মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে আর্জি জানালেন। চলতি সপ্তাহেই হতে পারে মামলাগুলির শুনানি বলে জানা গেছে।
এসএসসি-র গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি থেকে নবম-দশম শ্রেণি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ছয় মাসের মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করতে হবে বলেও সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। সেই নির্দেশ মোতাবেক গত ১৬ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। মামলাগুলির শুনানি হবে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। এত দিন ওই বেঞ্চ ব্যস্ত থাকায় শুনানি শুরু সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই ফের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগে গত দু’বছর ধরে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ফের কলকাতা হাইকোর্টেই মামলা ফিরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির কথাও বলা হয়।এসএসসি-র গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগ, নবম-দশম শ্রেণি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মামলাগুলির শুনানির জন্য বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ছ’মাসের মধ্যে ওই মামলাগুলির শুনানি শেষ করতে হবে। গত ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলির শুনানির জন্য হাইকোর্টকে ছ’মাসের সময়সীমা বেঁধে দেয়।
প্রয়োজনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয় দু মাসের মধ্যে। এই নির্দেশের পর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মামলাটি পাঠান বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে। চলতি সপ্তাহে এই বেঞ্চে শুনানি শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।