পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির রাজ্যসভার দলনেতা কে হবেন? গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বিজেপির রাজ্যসভার দলনেতা থাওয়ারচন্দ গেহলট মন্ত্রিসভার রদবদলের আগেই পদত্যাগ করেছেন।তাঁকে রাজ্যসভা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে কর্ণাটকের রাজ্যপাল পদে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ জুলাই সেরাজ্যের রাজ্যপাল পদে শপথ নেবেন তিনি। থাওয়ারচন্দের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার দলনেতার পদে কাকে বসাবে গেরুয়া শিবির?
থাওয়ারচন্দ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশিই বিজেপির রাজ্যসভার দলনেতা ছিলেন। মন্ত্রকে তাঁর শূন্যস্থান ইতিমধ্যেই পূরণ করেছে গেরুয়া শিবির। এবার বাকি রাজ্যসভায়। সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপির নেতা হিসেবে ভেসে আসছে তিনজনের নাম। পীযুষ গোয়েল, নির্মলা সীতারমণ এবং ভুপেন্দ্র যাদব। এদের মধ্যে ভুপেন্দ্র সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এসেছেন। এই তিনজনের মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে পীযুষ গোয়েল রাজ্যসভার অভিজ্ঞ নেতা হওয়ার পাশাপাশি বিজেপির উপনেতা পদে আছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই দলনেতার শূন্যস্থানে তাঁর দাবিই সবচেয়ে জোরাল। তাছাড়া সদ্য রেলমন্ত্রক খুইয়েছেন গোয়েল। তাঁর মনোবল চাঙ্গা করতে এই পদ তাঁকে দেওয়া হতে পারে। এই পদে গেরুয়া শিবিরের দ্বিতীয় পছন্দ হতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মন্ত্রিসভার রদবদলে নির্মলার দায়িত্ব কাটছাঁট বা বদল কোনওটাই করা হয়নি। তবে, রাজ্যসভার দলনেতার পদে এখনও কোনও মহিলা বসেননি। তাই নির্মলাকে এই পদ দিয়ে মহিলা ক্ষমতায়নের বার্তা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যসভার দলনেতা পদে বিজেপির পছন্দ হতে পারেন সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া ভুপেন্দ্র যাদবও। অমিত শাহর ঘনিষ্ঠ এই নেতা মূলত দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত। এবার রাজ্যসভাতেও বড় পদ পাওয়ারও সম্ভাবনা আছে তাঁর। তবে, এদের বাইরেও কাউকে রাজ্যসভার নেতা করে চমক দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে জাতপাতের সমীকরণের দিকে নজর রাখা হতে পারে।