পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হল কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে।এনআইএ এর বিশেষ আদালতে গত ১৯ মে ইয়াসিন মালিক দোষী সাব্যস্ত হন। তবে বিশেষ আদালতের বিচারপতি শাস্তির সিন্ধান্ত স্থগিত বা রিজার্ভ রাখেন। বুধবার এই রায় ঘোষণার দিন ছিল। সেই মোতাবেক বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটায় সাজা ঘোষণা করে আদালত।ইয়াসিন মালিকের সাজা ঘোষণার পরেই কাশ্মীরে অশান্তি এড়াতে বিচ্ছিন্নকরে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সংযোগ। যদিও ইয়াসিনের সাজা ঘোষণার আগেই বুধবার সকাল থেকেই শ্রীনগর আক্ষরিক অর্থেই বন্ধের চেহারা নেয়। বন্ধ ছিল দোকানপাট।
ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির যে যে ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে তা হল আইপিসি ১২০বি ধারায় – ১০বছরের কারাদণ্ড এবং ১০০০টাকা জরিমানা; ১২১এ আইপিসি – ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০,০০০ টাকা জরিমানা; ১৩ ইউপিএ -৫ বছরের কারাদণ্ড;১৫ ইউপিএ – ১০ বছরের কারাদণ্ড;১৭ ইউপিএ – যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং১০ লাখ টাকা জরিমানা;১৮ ইউপিএ – ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০,০০০ টাকা জরিমানা;২০ ইউপিএ – ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০,০০০ টাকা জরিমানা; ৩৮ , ৩৯ ইউপিএ- ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ₹ ৫,০০০ জরিমানা।ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে এনআইএ ইউপিএ ধারায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছি। বিশেষ আদালতের বিচারপতি জানিয়েছেন সবকটি সাজা একসঙ্গেই প্রযুক্ত হবে।উল্লেখ্য এনআইএ ইয়াসিনের মৃত্যুদন্ডের আবেদন জানায় আদালতে। এই প্রসঙ্গে ইয়াসিন বলেন আমি কোন আবেদন করবোনা, মহামান্য আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত।ইয়াসিনের আরও দাবি ছিল তিনি অস্ত্র ছেড়েছেন, এখন গান্ধির মতাদর্শই তার পথ।