মক্কা, ২১ মার্চ: রমযান মাসে পবিত্র উমরাহ পালন করতে অসংখ্য মুসলিম মক্কায় অবস্থান করছেন। এ সময় পবিত্র মসজিদুল হারামে মুসল্লিদের চাপ কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এবার মুসল্লিদের মক্কার হারাম সীমান্তের যেকোনও মসজিদে নামায পড়তে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে রমযান মাসে একাধিকবার উমরাহ পালনেও নিষেধ করা হচ্ছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে মক্কা নগর ও পবিত্র ভূমি বিষয়ক রয়্যাল কমিশন ‘অল অব মক্কা ইজ হারাম’ শীর্ষক একটি প্রচারণা চালু করে। হারাম সীমানার মধ্যে যেকোনও মসজিদে নামায পড়ার ওপর জোর দিচ্ছে রয়্যাল কমিশন।
মক্কার বাসিন্দা, দর্শনার্থী, উমরাহযাত্রীসহ সবার উদ্দেশে বলা হয়, ‘হারাম সীমান্তের মধ্যে পুরো এলাকার যেকোনও মসজিদে নামায পড়লে সওয়াব পাওয়া যেতে পারে। কমিশন বিবৃতিতে জানায়, ‘মুসল্লিরা মক্কায় যে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি উপলব্ধি করেন তা শুধু গ্র্যান্ড মসজিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হারাম সীমান্তের মধ্যে অন্য সব মসজিদেও একইরকম।’ এদিকে, রমযানে উমরাহ পালনকারীদের আরও এক বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
আধুনিক যুগে ইবাদত ও উমরাহ পালনের পাশাপাশি ছবি তোলারও হিড়িক পড়ে যায় কাবা প্রাঙ্গণে। তবে এখন থেকে এমন কাজ না করার আহ্বান জানিয়েছে দুই মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক জেনারেল অথরিটি। উমরাহ পালনকারীদের তাওয়াফ করার সময় ছবি না তুলে ইবাদতে পূর্ণ মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ইসলামে মক্কার নিষিদ্ধ ও সম্মানিত এলাকাকে হারাম বলা হয়। হারামের সীমানার মোট আয়তন ৫৬০ বর্গকিলোমিটার। এই অঞ্চল মক্কার উত্তরে পাঁচ কিলোমিটার আল-তানিম পর্যন্ত বিস্তৃত, আর পশ্চিমে জেদ্দা গভর্নরেটের দিকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।