পুবের কলম প্রতিবেদক, ইসলামপুর: উৎসবের মরশুমেও ডেঙ্গু চোখ রাঙানোয় উদ্বেগে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। উৎসবের মুখে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার লক্ষ্যে বেশকিছু কর্মসূচি নিতে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দফতর। মানুষজনকে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, ‘উৎসবের আগে ডেঙ্গি রোধে ব্লক এবং শহরে নানান কর্মসূচি চলছে। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।’
কিন্তু সচেতনতার প্রচারেই আটকে রয়েছে যাবতীয় কর্মকাণ্ড। সাফাইকর্মী নেই, মশা মারার ওষুধ স্প্রে করার যন্ত্র নেই। ডেঙ্গু রুখতে গৃহীত ব্যবস্থা কী ভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খোদ পঞ্চায়েতের কর্তা-কর্মীরাই।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বার উত্তর দিনাজপুরের বেশ কয়েকটি ব্লকেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। পাঞ্জিপাড়ায় গত সাতদিনে পাঁচজন ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। মশার উপদ্রবে নাজেহাল হচ্ছেন, এমন অভিযোগ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদেরই।
বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধানেরা জানান, সংস্কার না হওয়া পুকুর, ধান সিদ্ধ করার পাত্র-সহ নানান জায়গায় জল জমে থাকে। চাষের জমির জমা জলেও মশা বংশবিস্তার করে। বাসিন্দাদের এ সব ব্যাপারে সতর্ক করতে সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে।
কয়েক বছর আগেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গ্রামে মশা নিধনের স্প্রে করা হতো। অভিযোগ, এখন আর তা দেখা যায় না। গোয়ালপোখরের লোধনের বাসিন্দা আফসার আলম বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে পাকা নর্দমা তৈরি হয়েছে।
সেগুলিতে প্লাস্টিক, শুকনো পাতা-সহ নানা জিনিস জমে যাওয়ায় নিকাশি ব্যবস্থাই শুধু ব্যাহত হচ্ছে না, পাল্লা দিয়ে মশারও উৎপাত বাড়ছে।’
জেলা পরিষদ সহ সভাধিপতি ফারহাত বানু অবশ্য বলেন, ‘প্রতিটি পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এলাকা পরিষ্কার, স্প্রে করা-সহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে। তারা সেই কাজ করছে।’