পুবের কলম প্রতিবেদকঃ এবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত। এদিন পরীক্ষা দিতে কলেজে গিয়েছিলেন এই তৃণমূল নেত্রী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে অভিযোগের তির বিজেপি ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’র দিকে। তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এই মহিলা নেত্রীকে একা পেয়ে তাতে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করা হয়। তার দুটি মোবাইলই কেড়ে নেয় এবিভিপির সদস্যরা। এই অবস্থায় তাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। এই খবর পেয়ে তার মা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে, তাকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি এই ঘটনার পর পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলে ঘটনাস্থলে আসে আগরতলা ইস্ট থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশের সামনেই বিজেপি যুব মোর্চা এবং এবিভিপির ছাত্ররা তাদের আক্রমণ করে। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশীষ লাল সিং। তিনি বলেন, যেভাবে একের পর এক ঘটনায় মহিলাদের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে তাতে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।
এ ধরনের সংস্কৃতি সিপিএম আমলেও ছিল না। ত্রিপুরার মানুষের সংস্কৃতি তারা মহিলাদের সম্মান করে, অতিথিদের ভগবান হিসেবে ভাবত। কিন্তু যেভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটছে, তাতে ত্রিপুরার ভূমিপুত্র হিসাবে নিজেই লজ্জিত হচ্ছি।
একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, বিজেপি পরিষ্কার বুঝতে পারছে ত্রিপুরায় আস্তে আস্তে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। এই অবস্থাতে এ ধরনের হামলা আক্রমণকেই মসনদ বাঁচানোর উপায় হিসেবে ভাবছে বিজেপি। কিন্তু এভাবে আর যাই হোক তাদের পরাজয় রোখা যাবে না।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, দলের কর্মীদের ওপর এই বর্বোরোচিত আক্রমণের পর এদিনই বিকেলের বিমানে ত্রিপুরা যাচ্ছেন, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এবং রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তারা সেখানে গিয়ে এই আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াবেন বলেই খবর।