পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দরজায় কড়া নাড়ছে উত্তর প্রদেশের নির্বাচন, এরপর ২০২২ সালে রয়েছে একাধিক রাজ্যের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। ২০২১ এ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আক্ষরিক অর্থেই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখা গেরুয়া শিবির গুটিয়ে গিয়েছে ১০০ এরও অনেক নীচে। এই আবহে দাঁড়িয়ে বড়সড় রদবদল করা হল সংঘ পরিবারে। বিজেপির সঙ্গে মিলে কাজ করার ক্ষেত্রে সমন্বয় রক্ষা করার দায়িত্ব পেতে চলেছেন অরুণ কুমার। গত পাঁচদিন ধরে মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে বৈঠক করে আরএসএস। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে এই পদে ছিলেন কৃষ্ণ গোপাল। জানা গিয়েছে, তিনি সম্প্রতি অসুস্থ হয়েছেন। তাই তাঁর বদলে অরুণ কুমারকে আনা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত প্রচারক হিসাবে থাকতে পারেন প্রশান্ত ভট্ট। এদিকে বাংলা তথা পূর্বাঞ্চলে বদল আনছে আরএসএস। আগে বাংলা ও ওড়িশার ক্ষেত্র প্রচারক ছিলেন প্রদীপ জোশী। যিনি আবার কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর স্থানে সম্ভবত ক্ষেত্র প্রচারক হিসাবে কলকাতা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হবে জলধর মাহাতোকে। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি, তৃণমূলের ঘর ভাঙতে সফল হলেও তার প্রভাব যে কিছুমাত্র পরেনি তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। উল্টে বিজেপি ছেড়ে মুকুল রায় ফিরেছেন তৃণমূলে। দলবদলুদের অনেকেই এখন বেসুরো। ইতিমধ্যে আরএসএস বিধানসভা ভোটে হারের ময়নাতদন্ত করে ফেলেছে। সেখানে সামনে এসেছে যে ভোটের আগে বিজেপির কাজে আরএসএস-এর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। যাকে খুশি দলে নেওয়া হয়েছে। অন্য দল থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের যাচাই না করেই সাংগঠনিক পদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ১৪৮টি কেন্দ্রে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের প্রার্থী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন জিতেছেন। এতে পুরনো বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিজেপির থেকে। এই আবহে আরএসএস-এর পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্র প্রচারক বদলকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক ওয়াকিফহাল মহল।