বেঙ্গালুরু, ২৭ ডিসেম্বর: বির্তকিত মন্তব্য করে ফের শিরোনামে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করেন মহীশূরের বিজেপি সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অলস’ এবং ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ ছড়ানোর কারিগর বলে বেনজির আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বির্তকিত মন্তব্যের জেরে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতাপ সিমহার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিশ।
মঙ্গলবার কর্ণাটকের হুনসুরে হনুমান জয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বির্তকিত মন্তব্যের করেন তিনি। প্রতাপ সিমহা বলেন, “কর্নাটকে ২৮ জন সাংসদ রয়েছেন। কেনো জানিনা তারা শুধু আমাকেই টার্গেট করছে। আমিও কি কোনও কাজ না করে অলস সিদ্দুর (সিদ্দারামাইয়া) মতো বসে থাকব, এক জাতিকে অন্য জাতির বিরুদ্ধে দাঁড় করাব? আমি তা করব না, আমি উন্নয়নের কাজ করছি।” এমনকি কংগ্রেস নেতাদের সমালোচনাও করেন সিমহা।
তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদ জানাই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি বিজে বিজয়কুমার। অভিযোগ পত্র উল্লেখ করা হয়, প্রতাপ সিমহা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে জাতিদাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। তিনি বারবার হিন্দু ও মুসলিমদের একে অপরের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোই উস্কানি দিচ্ছে। কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪ (শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং ১৫৩ (দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উস্কানি) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংসদে নিরাপত্তা বিভ্রাটকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার। গত ১৩ ডিসেম্বর দর্শকদের আসন থেকে লাফ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করে ঢুকে পড়েন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামের দুজন। বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার নাম নিয়েই সংসদে ঢুকেছিল দুই ব্যক্তি। তাঁর নাম লেখা পাস নিয়েই লোকসভার ভিজিটার্স গ্যালারি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল ধৃতরা। এই ঘটনার পর থেকেই বিরোধীদের নিশানায় ছিলেন তিনি।