পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নির্ভয়াকান্ডের পরও বদলায়নি দিল্লির পরিস্থিতি।দেশের রাজধানী শহরে এখনও মহিলাদের নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে। ২০১২ এর ১৬ ডিসেম্বরের পর ২০২২ এর ১৬ অক্টোবর। এরমধ্যে অবশ্য যমুনা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। ফাঁসিও হয়েছে নির্ভয়ার ধর্ষকদের। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা! তার অবস্থা আক্ষরিক অর্থেই সোনার পাথরবাটির মতই ।
ফের দিল্লিতে নির্ভয়াকন্ডের ছায়া। দুদিন ধরে এক যুবতীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ। শুধু তাই নয় পাশবিক নির্যাতনের পর ওই যুবতীর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে, হাত-পা বেঁধে বস্তায় মুড়ে রাজপথে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই মহিলা।
দিল্লিএনসিআরে এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা যাচ্ছে দিল্লির নন্দনগরের বাসিন্দা ওই ৩৮ বছর বয়সী ওই মহিলা গাজিয়াবাদে নিজের ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর গাজিয়াবাদের রাস্তা থেকে অপহৃত হন তিনি। বুধবার তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে আশ্রমরোডের কাছে বস্তাবন্দী, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন ওই মহিলা। গাজিয়াবাদের এসপি (সিটি) নিপুন আগরওয়াল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নন্দগ্রাম থানার পুলিশ আশ্রম রোডে মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে।
‘
দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন এই ঘটনার ভয়াবহতা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে ২০১২ সালের নির্ভয়াকান্ডের নির্মমতার কথা। গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপারকে নোটিশও পাঠিয়েছে কমিশন। চাওয়া হয়েছে এফআইআইরের প্রতিলিপিও।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের পূর্ব পরিচয় ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর নন্দনগরে ফেরার উদ্দেশ্যে গাজিয়াবাদের রাস্তায় অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই মহিলা। এসময় একটি এসইউভিতে করে এসে তাঁকে চারজন ব্যক্তি অপহরণ করে বলে অভিযোগ।