উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : খাতায় কলমে শীত বিদায় নিয়েছে। বসন্ত কাল শুরু হয়ে গেছে।আর এই সময়ে গরম পড়তে না পড়তে সুন্দরবনে মিঠা জলের জলস্তর অনেকটাই নিচে চলে যাচ্ছে। তবে হালকা শীতের প্রভাব এখনও দক্ষিণবঙ্গে আছে। আর তার মধ্যেই সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় জলের সংকটে শুরু হওয়ায় চিন্তায় জয়নগর এলাকার মানুষ।
জয়নগর থানার অন্তর্গত জয়নগর ১ নং ব্লকের ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলপী, শ্যামনগর, গোবিন্দপুর, চন্দনেশ্বর সহ একাধিক গ্রামে গরম পড়তে না পড়তেই শুরু হয়ে গেছে তীব্র জলের সংকট। কয়েকদিন ধরে নলকূপ থেকে জল ওঠা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই সব এলাকায়। নলকূপের জল না পেয়ে অসহায়ের মধ্যে পুকুরের জল দিয়ে রান্না করা ও রান্নার একাধিক কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষদের। এদিকে পুকুরের জলও শুকোতে শুরু করেছে।আর তাই চরম সমস্যায় পড়েছেন সুন্দরবনের নদী সংলগ্ন এলাকার ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা।
আর কয়েকদিন পরে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের বিষয়টি নিয়ে এখন ভাবার সময় নেই।আর এরই মধ্যে ভোটের আশায় নানান প্রতিশ্রুতির কথা শুনেই চলেছেন ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামবাসীরা।এদিকে পানীয় জল না মেলায় ভোটাররা রাগে গুমরে গুমরে ফুঁসছেন।
আর এই প্রসঙ্গে স্থানীয় মানুষজন জানালেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবছরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের এলাকার এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশা রাখছি। এখানে অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে গেছে,মেরামত করা হচ্ছে না। ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলপি গ্রামে দুটি নলকূপ প্রায় তিনমাস ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ধোষা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে মৌখিক জানিয়ে এলে ও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষ জনের। আর এই এলাকার সাধারণ পরিবার গুলোকে পানীয় জল আনতে প্রায় এক কিলো মিটার দুর থেকে জল আনতে হচছে।
স্থানীয়দের এ ও দাবি, গ্রামের চাষের জমি গুলোতে মিনি হাউস বসানোর কারণে এই সমস্যাগুলি দেখা দিচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। তাই আমাদের জলের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে আমরা চাষ না করলে খাবো কি করে।আর অপরদিকে জলের এই সঙ্কট। এক এক করে নলকূপ গুলি জল না ওঠার কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তাই প্রায় এক কিলোমিটার দুর থেকে জল আনতে হচ্ছে এই এলাকার মানুষদের।২০১২ সালে এই তিলপিতে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক স্থাপিত হয় পানীয় জলের সংকট মেটাতে । তবে প্রথমে দু টাইম জল দিলেও এখন এক টাইম করে এই জলের পরিষেবা এলাকার মানুষজন পায়।এলাকার মানুষ চায় দ্রুত পানীয় জলের সংকট মেটাতে তৎপর হোক প্রশাসন। তবে এব্যাপারে ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জিতা সরদারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এব্যাপারে কোনো উওর দিতে পারেনি।