পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইসরাইলি বিদেশমন্ত্রকের এক নথিতে ইসরাইল ও মায়ানমারের মধ্যে গোপন এবং গভীর সম্পর্কের বিষয়টি উঠে এসেছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মায়ানমারের সেনাবাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে; তার প্রমাণও মিলেছে।
ইসরাইলের এক মিডিয়া জানায়; ইসরাইলি বিদেশমন্ত্রক ২৫ হাজার নথি প্রকাশ করেছে। এই নথি থেকে জানা যায়; মায়ানমার পুনর্গঠনে সহায়তার পাশাপাশি দেশটির সেনাকে প্রশিক্ষ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে যায়নবাদী ইসরাইল। সেইসঙ্গে বার্মিজ সেনাকে কর্তৃত্ব বজায় রাখতেও শিখিয়েছে ইসরাইল।
নথি থেকে জানা যায়; ইসরাইলের অন্যতম প্রাধান লক্ষ্য ছিল অস্ত্র সহায়তার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক মহলে মায়ানমারের সমর্থন আদায় করা।
নথিতে আরও উল্লেখ রয়েছে; মায়ানমারকে অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে কোনও ইসরাইলি নেতা কখনও আপত্তি জানায়নি। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী; ১৯৫০-এর দশকে বার্মার মারাত্মক গৃহযুদ্ধকে অস্ত্র বিক্রি বাড়ানোর জন্য একটি ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসেবে দেখেছিল ইসরাইল।
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং বার্মিজ গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপনে ব্যাপক আগ্রহী ছিল ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী।
পরবর্তীতেও মায়ানমারের সেনার প্রতি ইসরাইলের সমর্থনে ভাটা পড়েনি। কারণ; রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গহত্যা চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মায়ানমারের বিরুদ্ধে যখন মামলা চলছিল ঠিক তার আগে বার্মিজ সেনাকে ‘শুভকামনা’ জানিয়েছিলেন মায়ানমারে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রনেন গিলর। এসব সহায়তার মাধ্যমে মায়ানমারে ব্যবসা-বােিজ্যর প্রসার ঘটিয়েছিল ইসরাইল।