পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ একটি ট্যুইট বার্তায় সউদি আরবের যুবরাজ বিন সালমানকে (এমবিএস) ‘মুসলিমদের ক্রাউন প্রিন্স’ হিসাবে উল্লেখ করার পর দেশটির একজন বিশিষ্ট স্কলার অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনা ও উপহাসের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি পবিত্র কাবা শরিফের সাফাই কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন যুবরাজ সালমান। ট্যুইটারে সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে সউদি স্কলার শেখ সালেহ বিন আওয়াদ আল-মাঘামসি লেখেন, ‘হে মুসলিমদের যুবরাজ, আল্লাহ আপনার সম্মান এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।’
প্রসঙ্গত মাঘামসি হচ্ছেন পবিত্র শহর মদিনার কুবা মসজিদের প্রাক্তন ইমাম ও প্রয়াত গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদ আল-আজিজ ইবনে বাজের ছাত্র। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা মাঘামসির বিরুদ্ধে ‘চাটুকারিতা’র অভিযোগ তুলেছেন। নেটিজেনরা বলছেন, সউদি যুবরাজ একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসাবে প্রচারিত হওয়া সত্ত্বেও, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা, ইয়েমেনে যুদ্ধ পরিচালনা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য অভিযোগে সমালোচিত হয়েছেন।
একজন ট্যুইটে লেখেন, ‘হে সালেহ, আপনি ভন্ড এবং মিথ্যা কথা বলছেন এবং একজনকে মুসলিমদের যুবরাজ বলছেন, আপনার জন্য অপমানিত হওয়া কী যথেষ্ট নয়? আল্লাহ আপনাকে পথ দেখান, কিন্তু আপনি এটি অত্যাচারীদের সেবা করার জন্য করছেন।’ ট্যুইটে আরও একজন লেখেন ‘হে সালেহ, আপনি মুসলিমদের পোশাকে ইহুদিদের কাজ করেন।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চে একটি ট্যুইটে সউদি বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানানোর পর মাঘামসিকে কুবা মসজিদের ইমামের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তিনি পরে আহ্বান জানানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন ও জানান যে, তিনি বলতে চেয়েছিলেন কেবলমাত্র ‘আইনের ছোট-খাটো লঙ্ঘনকারীদের’ মুক্তি দেওয়া উচিত।