নয়াদিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর: নয়া সংসদে নিরাপত্তা গাফিলতি নিয়ে শুক্রবারও লাগাতার মোদি সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছে বিরোধী সাংসদরা। ৮৬২ কোটি টাকার নয়া সংসদে নিরাপত্তার দিকে বাড়িটি নজর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি নিজে। কেন্দ্রের গাফিলতি সামনে আসার পর নিজেদের দায় ঢাকতে বিরোধীদেরই নিশানা করার নিজেদের ‘বিত্র’ কর্তব্য বলে মনে করেছে বিজেপি। নিরাপত্তা গাফিলতি নিয়ে জোরদার প্রশ্ন তোলায় ১৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার পর দু’দিন কেটে গেলেও সংসদে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু পছন্দের বেসরকারি চ্যানেলে বসে প্রতিক্রিয়া দিতে আপত্তি জানাননি তিনি। নিরাপত্তায় গাফিলতির কথা মেনে নিয়েও, সেখানে বসে বিরোধীদেরই আক্রমণ শানান তিনি।
বেসরকরি চ্যানেলে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। লোকসভার অধ্যক্ষ এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বিরোধীরা এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন। আমি বলছি না যে কোনও গাফিলতি ছিল না। গাফিলতি নিশ্চয়ই হয়েছে। তাই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এটা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।’ শাহ আরও বলেন, ‘সবাই জানেন, সংসদের নিরাপত্তা লোকসভা অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন। অধ্যক্ষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন। আমরা একটি কমিটি তৈরি করেছি।
অনেকেই বলছেন বিজেপি সাংসদ ওই অনুপ্রবেশকারীদের পাশ দিয়েছিল বলে বিজেপি মুখে কুলুপ এতে রয়েছে। এটাই যদি বিরোধে দলের সংসদ হত, তাহলে এতক্ষন এনআই তদন্তর দাবি জানানো বিজেপি সাংসদরাই। ভাষণে লোকসভা গরম কফরে দিতেন শাহ-মোদি সহ বিজেপির ছোট বড় সব সাংসদ। যারা সংসদে অনুপ্রবেশ করেছিল, তাদের মধ্যে যদি কোনো সংখ্যালঘু থাকত, তাহলে বিজেপির তরফ থেকেই তাকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে ঘোষণা করে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হতো। যিনি ওই অনুপ্রবেশ পাশ দিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তার জিগির তুলে তাকে পার্লামেন্ট ছাড়া করত বিজেপি। কিন্তু মোদির বায়োগ্রাফি লেখা মহিশুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটে যারা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তাদের সাসপেন্ড করে মোদি সরকার বুঝিয়ে দিচ্ছে, অপরাধ যারি হোক দায় নিতি হবে বিরোধীদেরই।