হাইলাইটসঃ পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি যথেষ্ট। তবে মস্কো এ ধরনের সংঘাত এড়াতে চায়। এজন্য আমরা সবকিছু করছি। তবে অনেকে তা চাইবেন না।’- রুশ বিদেশমন্ত্রী
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনকে লাগাতার অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটো ‘প্রক্সি ওয়ার’ বা ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ইউক্রেন ইস্যুতে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে না দেওয়ার ব্যাপারে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, ‘ইউক্রেনে একাধিকবার অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করেছে রাশিয়া। তারপরও সেখানে অস্ত্র কী করে যাচ্ছে? এ থেকে স্পষ্ট, ন্যাটো তাদের অস্ত্রের জোগান অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেনকে অস্ত্রসাহায্য করে ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধে নেমেছে। এই অস্ত্রের সাহায্যেই রাশিয়ার সেনার উপর আক্রমণ চালাচ্ছে ইউক্রেন।’ ল্যাভরভ জানিয়েছেন, বাইরে থেকে পরমাণু যুদ্ধের একটি আবহ তৈরির চেষ্টা চলছে। রাশিয়া তার মধ্যে ঢুকতে চায় না। তাঁর মতে, একটি চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ শেষ হতে পারে, দুই দেশ শান্তি আলোচনাও অব্যাহত রেখেছে। তবে চুক্তি সইয়ের সময় দেখতে হবে, কোন দেশের সেনা কোথায় অবস্থানরত। ল্যাভরভ আরও জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান শান্তি আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তবে তাঁর সতর্কতা, ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘প্রকৃত’ বিপদ রয়েছে। এই বিপদটি গুরুতর ও বাস্তব। এই আশঙ্কাকে খাটো করে না দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ল্যাভরভের অভিযোগ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আলোচনার নামে ‘ভান’ করছেন। জেলেনস্কিকে ‘ভালো অভিনেতা’ বলে সম্বোধন করেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। সামরিক বিশ্লেষকদের দাবি, একই পরিস্থিতি বিরাজ করলে ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলতে থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ পরমাণু যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।
এ দিকে জার্মানির ৪০ কূটনীতিককে বহিষ্কার করছে মস্কো। ইউক্রেন ইস্যুতে জার্মানির বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক জানায়, মস্কোতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই কূটনীতিকদের অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ-সহ ২৯ মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। ফলে তারা এখন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দুই মাসের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। দুই পক্ষের লড়াইয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ৫২ লক্ষ মানুষ।