পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দেশে আরএসএসকে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা আছে। তাদের কাজের মধ্যে উগ্র হিন্দুত্ববাদ, অস্ত্রশিক্ষা, অস্ত্রমিছিল, মুসলিম বিদ্বেষ ইত্যাদি নানা সময়ে প্রকট হয়ে উঠেছে। সেই বিতর্ককে এবার বিদেশের মাটিতে নিয়ে ফেললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। ব্রিটেনের সংসদের গ্র্যান্ড কমিটি রুমে এক আলোচনায় তিনি উপস্থিত বিশিষ্ট সাংসদ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও কমিউনিটি লিডারদের সামনে বলেন, আরএসএস একটি কট্টরপন্থী ও ফ্যাসিবাদী সংগঠন। তাদের উদ্দেশ্য হল গণতান্ত্রিক লড়াই করে ক্ষমতা দখল করে সেই গণতন্ত্রকেই উচ্ছেদ করা। এটিকে তিনি গোপন এজেন্ডার সংগঠন হিসেবে অভিহিত করতে চেয়েছেন।
মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতের সংসদে আলোচনার কোনও পরিসর নেই। সেখানো বিতর্ক হতে দেওয়া হয় না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও নেই বলে দাবি করেন রাহুল। এদিন তাকে একজন জিজ্ঞাসা করেন, আরএসএস কী? এর জবাবে রাহুল বলেন, ২০০৪ সালে যখন আমি রাজনীতিতে যোগ দিই, তখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে গণতান্ত্রিক লড়াই হত। আমি কখনই ভাবিনি যে এভাবে এর প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে যাবে।
এটা অদ্ভুত শোনালেও মেনে নিতে হবে যে ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো একদমই বদলে গিয়েছে। কারা এই বদল করল? এর পিছনের কারণ হল একটি সংগঠন। আর সেটাই আরএসএস। এরপর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ কীভাবে দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে দখল করে নিচ্ছে, তার উল্লেখ করেন তিনি। দেশের সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হাতে চলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাহুল। আরএসএসের মোকাবিলায় দেশের মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিশেষ করে, তারা যে ফাঁদ পাতে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ ঘটানোর জন্য, সে সম্বন্ধে সবাইকে সচেতন করতে হবে বলে তিনি জানান।