পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। তা সত্ত্বেও কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচে বেশিরভাগ সময় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে সাইড লাইনে বসিয়ে রেখেছিলেন পর্তুগালের কোচ ফার্নান্ডো স্যান্তোস। রাউন্ড অব ১৬-এ পর্তুগাল যখন সুইৎজারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল তখনও বেঞ্চে বিকল্প হিসেবে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এবং রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলারকে।
এমনকী মরক্কোর বিপক্ষে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ১-০ গোলে পর্তুগালের পরাজিত হওয়া ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বিকল্প হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছিল রোনাল্ডোকে। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে চেঞ্জিং রুমের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। এতে রোনাল্ডো স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কোচ স্যান্তোস তাঁকে জোর করে মাঠের বাইরে রেখে ঠিক করেননি। পুরো সময় তিনি মাঠে থাকলে এভাবে পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে দিতেন না।
বর্তমানে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বয়স ৩৭। স্বাভাবিকভাবে পরবর্তী ফিফা বিশ্বকাপে তাঁর খেলা কঠিন। কাতার বিশ্বকাপ ছিল তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। তাই এবারেই তিনিও নিজের শেষ বিশ্বকাপে দলকে বিশ্বকাপ ট্রফি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দলের কোচ স্যান্তোস তাঁকে বিশ্বকাপে সেভাবে মাঠে নামার সুযোগ দেননি। যা নিয়ে পর্তুগাল কোচের ওপর ক্ষেপে লাল পর্তুগিজরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে স্যান্তোসও বিশ্বকাপ শেষে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
মধ্যিখানে রোনাল্ডোর বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন অধরা থেকে গেল। এ ব্যাপারে রোনাল্ডো এখনও পর্যন্ত জনসমক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও এবার তার হয়ে আওয়াজ তুললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেব তাইয়্যেপ এরদোগান। তাঁর মতে, রোনাল্ডো বিশ্বকাপে রাজনীতির শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা বিশ্বকাপে রোনাল্ডোর মতো ফুটবলারকে কাজে লাগায়নি। দুর্ভাগ্যবশত, তাঁরা রোনাল্ডোর ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ম্যাচের মাত্র ৩০ মিনিট বাকি থাকতে রোনাল্ডোর মতো একজন বিশ্বসেরা ফুটবলারকে মাঠে নামিয়েছিল। এটি তাঁর মনস্তত্ত্বকে নষ্ট করেছে। রোনাল্ডো এমন একজন ব্যক্তি যিনি অসহায় ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমার মনে হয়, সে-কারণেই তাঁকে রাজনীতির শিকার হতে হল।’