পুবের কলম প্রতিবেদক: আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া, দুর্গত এলাকায় মানুষের সাহায্যে বিগত ১০১ বছর ধরে কাজ করে চলেছে ‘SBISA’ (বিধাননগর মডিউল)। বর্তমানে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ প্ল্যানটেশনের ওপর আমরা কাজ করে চলেছি বলে জানালেন সংগঠনের জোনাল সেক্রেটারি মোস্তাফা কামাল বৈদ্য। মোস্তাফাসাহেব জানান, নদীগর্ভে ক্ষতি হওয়ার জন্য অন্যতম কারণ ম্যানগ্রোভ কমে যাওয়া। আয়লা, আমফান, ইয়াসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দেখেছি বাঁধ ভেঙে গিয়ে উপকূলবর্তী জেলাগুলি ক্ষতির মুখে পড়েছে। আর সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে এই সমস্ত অঞ্চলে থাকা মানুষের জীবন। তাই এই অবস্থায় আমাদের কাছে সবচেয়ে প্রয়োজন বলে মনে হয়েছে ম্যানগ্রোভ রোপণ। কারণ একমাত্র ম্যানগ্রোভই এই সমস্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে নদীগর্ভের ভাঙন আটকাতে পারবে।
ইতিমধ্যেই ‘SBISA’ (বিধাননগর মডিউল)-এর উদ্যোগে সুন্দরবনের ছোট সেহারাচরে ম্যানগ্রোভ রোপণ ও বীজও রোপণ করা হয়েছে। ২০০০-এর মতো চারা রোপণ করা হয়েছে। ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি চন্দন চক্রবর্তী, জেনারেল সেক্রেটারি গৌতম নিয়োগী মহাশয়ের উদ্যোগে কেওরা, ওরা, গেঁয়ো এই ধরনের চারা রোপণ করা হয়েছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত প্রধান কালীকিঙ্কর দাস ও পঞ্চায়েতে ইঞ্জিনিয়ার নবকুমার সরকার আমাদের এই কর্মযজ্ঞে শামিল হন। এছাড়াও ‘জয়ী স্বয়ম্বর গোষ্ঠী’র সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে চারা রোপণের জন্য। ওরা গাছগুলি পুঁতেছে। আমরা অর্থ প্রদান করেছি। ইয়াসের তাণ্ডবে নিত্যবেড়িয়া গ্রামে ২০০ মানুষের ঘরবাড়ি ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। সেই সমস্ত মানুষের হাতে মশারি সমেত খাদ্যদ্রব্য তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘SBISA’ (বিধাননগর মডিউল)-এর পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পিছিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই খাতা তুলে দেওয়া হয়েছে।
জোনাল সেক্রেটারি মোস্তাফা কামাল বৈদ্য’র কথায় ত্রাণ দেওয়া কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। সাময়িক স্বস্তি। পেটের দায়ে অসহায় মানুষ ত্রাণ ঋণ নিতে বাধ্য হয়। সেই কারণে আমরা সকলকেই এই পৃথিবীতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমরা চাই মানুষ সচেতন হোক, নিজের এলাকায় নিজেরাই চারা রোপণ করুক।
মোস্তাফা কামাল বৈদ্য জানান, ‘SBISA’ (বিধাননগর মডিউল)-এর প্রধান উদ্দেশ্য, যেকোনও দুঃসময়ে মানুষের জন্য কাজ করা। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। আগামীদিনে ভ্যাকসিনেশন নিয়েও কাজ করার ব্যাপারে আমরা আগ্রহী। ।