পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার কথা শোনা গেলেও গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধার খবর অনেকেরই অজানা। সুইৎজারল্যান্ডের এক গ্রামে গরুদের গলায় ঘণ্টা বাধার ঐতিহ্যবাহী নিয়ম থাকলেও এখন সেই ঘণ্টা নিয়েই দেখা দিয়েছে বিবাদ। গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধা হবে নাকি হবে না, এ নিয়ে চলছে গণভোটের প্রস্তুতি! ঘটনাটি সুইৎজারল্যান্ডের আরওয়ানজেন নামে একটি গ্রামের। জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে আরওয়ানজেন গ্রাম থেকে অভিযোগ ওঠে, গরুর গলায় বাঁধা ঘণ্টার শব্দে রাতে ঘুমাতে পারছেন না সেখানকার অধিবাসীরা। মূলত, এক আবাসিক এলাকার পাশে মাঠে এক খামারে ১৫টি গরু ছিল। এর পাশেই এক অ্যাপার্টমেন্টে যারা থাকেন, তারাই বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। তাদের দাবি গরুগুলোর গলায় বাঁধা ঘণ্টা রাতের বেলায় কৃষকরা যেন খুলে নেন। কিন্তু গরুর গলায় বাঁধা ঘণ্টা সুইৎজারল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী এক প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত। এর ফলে, গরুর গলা থেকে ঘণ্টা খুলে নেওয়ার আবেদনে স্থানীয়দের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে ভোটের দাবিও ওঠে। এদিকে আরওয়ানজেনের মেয়র এ ঘটনায় স্তম্ভিত। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এমন অভিযোগ শুনলাম। আমি অবাক হয়েছি। গরু যে সত্যিই এত ডিস্টার্বিং তা বোধের বাইরে ছিল!’ মেয়র মজা করে বলেন, ‘জানতে পারলাম এরাও মানুষকে বিরক্ত করতে পারে!’ সুইস গ্রামটিতে মোট ৪,৮০০ বাসিন্দা রয়েছেন। গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধার পক্ষে ১০৯৯টি সই সংগ্রহ করেছে একটি গ্রুপ। তাদের দাবি, গরুর গলায় সব সময় ঘণ্টা বেঁধে রাখার অধিকার কৃষকদের আছে! কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আগামী বছরের জুনে ভোটাভুটি হবে বলে জানা গেছে।