পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: নির্বাচনের আগে ভোটার ও স্থানীয় সমাজবিরোধীদের প্রভাবিত করতে অর্থ, মদ-মাদক সরবরাহের ঘটনা এদেশে নতুন নয়। তবে বছর শেষে হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাতের নির্বাচনের আগে এই প্রবণতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মত নির্বাচন কমিশনের। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুই রাজ্যের নির্বাচনের আগে রেকর্ড পরিমান নগদ ও মদ উদ্ধার হয়েছে।
শনিবার হিমাচল প্রদেশে ও ডিসেম্বরের ১ ও ৫ এ গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য এমন পদক্ষেপ নিন্দাজনক বলে মত রাজনৈতিক মহলের। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০১৭ সালের হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনে যে পরিমান নগদ অর্থ, মদ ও মাদক উদ্ধার হয়েছিল, ২০২২ এ তা বেড়েছে প্রায় ৫ গুন।
নির্বাচন কমিশনের মতে, ২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের সময় ২৭.২১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এবারে তা বেড়ে হয়েছে ৭১.৮৮ কোটি টাকা। অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশে শেষবার বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে মোট ৯.০৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, যা এবারে ৫ গুন বেড়ে হয়েছে ৫০.২৮ কোটি টাকা।
বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গুজরাতে ৬৬ লক্ষ টাকা নগদ, ৩.৮৬ কোটি টাকা মূল্যের মদ, ৯৪ লক্ষ টাকা মূল্যের ড্রাগস ও বেনামে ৬৪.৫৬ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। এবারের হিমাচল ও গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন জেতার মরিয়া লড়াইয়ে রাজনৈতিক দলগুলি অনৈতিকভাবে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।