পুবের কলম প্রতিবেদক: শহরে একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নাগরিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে পুর প্রশাসনের ভূমিকায়। এই অবস্থায় নাগরিকদের থেকেই উঠে এল সাহায্যের হাত। শহরের সুরক্ষায় কলকাতা পুরসভার কাছে নিজের অভিমত জানিয়েছিলেন এক নাগরিক। শনিবার সেই সহ নাগরিকের অভিমতকে স্বীকৃতি দিলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টর মতো ঘটনা রোধে ওই ব্যক্তির দেওয়া অভিমত অনুযায়ী কাজ করবে কলকাতা পুরসভা। এদিন মেয়রের অনুমোদ পাওয়ার পরই শুরু হয়ে যায় কাজ।
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার একটা উপায় বাতলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রাক্তন অধ্যাপক কৃষ্ণ দাস বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠি লিখে পুরসভাকে আর্থ মেগার ইন্সট্রুমেন্ট কেনার কথা জানান। এই সাজেশন পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন মেয়াদ ফিরহাদ হাকিম। তৎক্ষণাৎ এই ইন্সট্রুমেন্ট কেনার নির্দেশ দেন পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগকে। এর পর সচেতন ওই সহ নাগরিককে শনিবার নিজেই ফোন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যে ফোন পেয়ে আপ্লুত হয়ে যান কৃষ্ণবাবু।
এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘’আমাকে শ্রী কেডি ব্যানার্জি (কৃষ্ণ দাস বন্দ্যোপাধ্যায়) একটা চিঠি দিয়েছিলেন, সেই চিঠিতে আর্থ মেগার বলে একটা ইন্সট্রুমেন্ট কিনতে বলেছিলেন। এই ইন্সট্রুমেন্টটা যে কোন ইলেকট্রিক পোস্টে লাগালে বলে দেবে সেই ইলেকট্রিক পোস্টে কোন কারেন্ট লিকেজ আছে কিনা, আর্থিং আছে কি নেই তাই জানা যাবে। আমি ইতিমধ্যে অর্ডার করেছি সমস্ত ওয়ার্ডে একটি করে এই আর্থ মেগার ইন্সট্রুমেন্ট কেনার জন্য। আমাদের যারা ইন্সপেক্টর আছেন তাদের হাতে ওটা দিয়ে দেওয়া হবে। এটা টেন্ডার করতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে।’’
অন্যদিকে, শহরের অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও এদিন নাগরিকদের সাহায্য প্রার্থনা করেন মেয়র। কোথাও কোন খোলা লাইটপোস্ট, আর্থিং এর সমস্যা চোখে পড়লেই ছবি তুলে নির্দিষ্ট নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করার পরামর্শ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
সেক্ষেত্রে ‘শো টু ইওর মেয়র’ এ ৮৩৩৫৯৯৯১১১ এই নম্বরে ছবি তুলে দিয়ে সমস্যার কথা জানাতে হবে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।