কিবরিয়া আনসারী: ডোমকল, রানীনগরের পর ফের ভিন রাজ্যে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। শনিবার রাতে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে জলঙ্গীর সাবদুল মন্ডলের। ঘটনাটি কেরলের এরনাকুলামের আলুয়া গ্যারেজ সংলগ্ন এলাকার। মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই ভেঙে পড়েছেন সাবদুলের পরিবারের সদস্যরা। তবে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানার ঝাউদিয়া চাদবিলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা সাবদুল মন্ডল। গত তিন মাস আগে কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন বছর আটত্রিশের সাবদুল। কখনো রাজমিস্ত্রির সহযোগী আবার কখনো পাথর কাটার কাজ করতেন। মৃতের ভাই হালিম মন্ডল জানান, “পরিবারে স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে বিদেশ গিয়েছিল দাদা। পরিবারের আর্থিক অবস্থা একদমই শৌচনীয়। শনিবার কাজ শেষে ঘরে ফিরছিল সে। হঠাৎ লাইন দিয়ে ট্রেন যাওয়ার পরেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর আসে বাড়িতে। আদৌও কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানা না।”
পরিবার সূত্রে খবর, অত্যান্ত গরিব সাবদুল। মাথা গোজার নিজস্ব ঘরটুকুও নেই তার। জলঙ্গীর সাহেবরামপুর বলাইতলা এলাকায় শ্বশুরের দেওয়া জমিতে মাথা গোজার কোনওরকম ঠাঁই হয়েছিল। কিন্তু সেখানে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বসবাস। গত পাঁচ বছর আগে পরিবারে নেমে আসে চরম অশান্তি। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। মৃতের আত্মীয় রাকিবুল মন্ডল বলেন, “বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই বিবাহ যোগ্য এক মেয়ে এবং নাবালক ছেলেকে নিয়েই তাঁর সংসার। মেয়ের বিয়ে দেওয়া জন্য কেরল গিয়েছিল সে। নিজস্ব ঘর তৈরী করাও খুব চেষ্টা করছিল। সাবদুলের মৃত্যুর ফলে তাঁর ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতটা এখন অন্ধকার।”