শফিকুল ইসলাম,রানাঘাট:
হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা শুধুমাত্র মহানগর কেন্দ্রিক না রেখে বিকেন্দ্রীকরণ করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। সোমবার দুপুরে আয়োজিত রানাঘাট মনোরমা হসপিটেক্সে প্রথমবারের মতো হৃদরোগ বিষয়ক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, হৃদরোগ এমন একটি রোগ যা মানুষকে দূরবর্তী হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করার সময়টুকু দেয় না। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে।১ঘণ্টা হচ্ছে ‘গোল্ডেন টাইম’।এর বেশি হলে রোগীকে বাঁচানো যায়না।
তাই শহর-গ্রাম পর্যায়েও আধুনিক চিকিৎসা ছড়িয়ে দিতে হবে। আর এ জন্যেই রানাঘাট মনোরমা হসপিটেক্সে হৃদরোগ বিষয়ক সব ধরণের চিকিৎসা ও অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।চালু হয়েছে অল ক্যাথ ল্যাব এবং অল এমআর আই।
এ সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নেন চিকিৎসক অজিত শতপথী, মনীশ কুমার,অশোক মৌলিক এবং শিবানন্দ এস প্যাটেল।
দিল্লির চিকিৎসক শিবানন্দ এস প্যাটেল জানান, হৃদপিন্ডের চারটি ভালভ রয়েছে যা সাধারণত সারা হৃৎপিণ্ড জুড়ে শুধুমাত্র এক দিকে রক্ত প্রবাহিত হতে দেয়। ভালভ হৃদপিন্ডের চেম্বার দিয়ে পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্তকে প্রবাহিত করার জন্য দায়ী। রক্ত প্রবাহের পরে প্রতিটি ভালভ রক্ত প্রবাহ শুরু করার পরে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। হার্টের ভালভ যেটি অনুপযুক্তভাবে কাজ করছে তা সবসময় ভালভটি বন্ধ করতে সক্ষম হয় না যেমনটি করা উচিত। ফুটো ভালভ শক্তভাবে বন্ধ করার পরিবর্তে, এটি খোলা থাকতে পারে, রক্তকে পিছনের দিকে প্রবাহিত করতে দেয়। এই অবস্থা রেগুরজাটিশন বা regurgitation হিসাবে পরিচিত.
যখন একটি হার্টের ভাল্ব ঝুঁকিতে থাকে তখন এটি কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখায় যেমন মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, হালকা মাথাব্যথা ইত্যাদি। এই কারণেই হার্টের ভালভ প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয় যাদের হার্টের ভাল্ব ফুটো আছে। বয়স-সম্পর্কিত পরিবর্তন, যেকোনো ব্যাধি, সংক্রমণ, বাতজ্বর, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য, আপনার হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা ইত্যাদির কারণে এই অবস্থা ঘটতে পারে। কিছু লোকের ক্ষেত্রে ক্ষতি খুব বেশি হয় সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ভালভের সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়।