রিয়াদ, ২৯ মে: গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের শরণার্থী শিবিরে জোরদার হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। লাগাতার হামলায় ৩৭ জন ফিলিস্তিনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসরাইলের অব্যাহত গণহত্যা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানাল সৌদি আরব। এক বিবৃতিতে সৌদি বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, রাফায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের তাঁবুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। রাফাহ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যা ঘটছে এরজন্য ইসরাইল পুরোপুরি দায়ী। সৌদি বিদেশ মন্ত্রক জোর দিয়ে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক মহলের দায়িত্ব গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা… ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধ করা এবং গণহত্যাকারীদের জবাব দিহিতার আওতায় আনা দরকার।’
এদিকে রাফাহ জরুরি কমিটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাফাহ প্রদেশের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বোমা হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। রবিবার তেল আল-সুলতানের একটি তাঁবুতে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৪৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছে। কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে। অন্যদিকে, এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। আইসিজের আদেশ মেনে রাফায় অভিযান বন্ধের আহ্বান জানায় রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ। তবে আইসিজের আদেশ উপেক্ষা করেই রাফার শরণার্থীশিবিরে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস গোষ্ঠী অতর্কিতে হামলা চালিয়ে দক্ষিণ ইসরাইলে প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করে। এসময় কমপক্ষে ২৫০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যায় তারা। এর প্রেক্ষিতে গাজা উপত্যকায় চালানো ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।