পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: গাজাকে কেন্দ্র করে চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধ ও গাজার ভবিষ্যৎ শাসন প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে একটি পরিকল্পনা পেশ করেছে মিশর ও কাতার। এরই মধ্যে ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং হামাসের কাছে এই পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে। এই পরিকল্পনা নিয়ে বেশ আশাবাদী মিশর। দেশটি বলছে, এই পরিকল্পনা উচ্চাভিলাষী।
এই পরিকল্পনা অনুসারে ইসরাইল গাজা উপত্যকা থেকে সব সেনা সরিয়ে নেবে, হামাস সব জিম্মিদের মুক্তি দেবে এবং ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনিও মুক্তি পাবে।
কাতার ও মিশরের যৌথ উদ্যোগে উত্থাপিত এই প্রস্তাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হল গাজা উপত্যকাসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড শাসনের পদ্ধতি।
এই প্রস্তাব বা পরিকল্পনা অনুসারে, এই সংঘাত বন্ধের পর ফিলিস্তিন শাসন করবে এমন একটি সরকার, যার চরিত্র হবে টেকনোক্র্যাটিক। অর্থাৎ, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে গঠিত হবে এই সরকার।
এই পরিকল্পনায় তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথম ধাপে হামাসের হাতে বন্দি সব বেসামরিক জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিপরীতে ইসরাইলও ফিলিস্তিনি কিছু বন্দীকে মুক্তি দেবে। তবে এ সময় ৭ থেকে ১০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চলবে। দ্বিতীয় ধাপের আরেকটি সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চলবে এবং এ সময় হামাস তাদের হাতে বন্দী ইসরায়েলি নারী সৈনিকদের মুক্তি দেবে। বিপরীতে ইসরায়েল আরও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে।
চূড়ান্ত, অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে বিবদমান পক্ষগুলো আলোচনায় বসে হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি সেনাদের মুক্তি ও বিপরীতে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে। এই আলোচনা চলতে পারে মাসখানেক। এই দফায় বন্দী বিনিময় শেষ হলে ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে সীমান্তের ওপারে চলে যাবে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি কারাগারে প্রায় ৮ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী অবস্থায় আছে। এদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, উল্লিখিত তিন ধাপের পরিকল্পনার বাইরেও আর একটি বড় পরিকল্পনা পেশ করেছে।
এই পরিকল্পনা অনুসারে হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর করে একটি টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করা হবে, যারা গাজা ও পশ্চিম তীর শাসন করবে।