ঢাকা, ২ জানুয়ারি: ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের কারাদণ্ডের রায়ের নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বলেছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে দোষী সাব্যস্ত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকারের স্বরূপ প্রকাশ পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। আদালতের রায়ের নিন্দায় ভেরিফায়েড এক্স একাউন্টে অ্যামনেস্টি লিখেছে, ‘ড. ইউনুসকে দোষী সাব্যস্ত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকারের চিত্র ফুটে উঠেছে। এখানে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমালোচনাকে পিষে মেরেছে। বাংলাদেশে আদালতে যেখানে শ্রম অধিকার বিষয়ক অন্য মামলাগুলো শামুকের গতিতে চলে, তার তুলনায় ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা সম্পন্ন হয়েছে অস্বাভাবিক গতিতে।’
অ্যামনেস্টি আরও লিখেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটানোর জন্য শ্রম আইনের লঙ্ঘন এবং বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনের লঙ্ঘন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বাংলাদেশ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে আদালত, তার বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। সোমবার ঢাকার বিজয়নগরে শ্রম ভবনে তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ইউনুসসহ চার জনকে জেলের সাজা শোনান। রায়ে ড. ইউনুস সহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে চার জনকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। রায় ঘোষণার পর কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ড. ইউনুসকে আদালত থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই ড. ইউনুস বলেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম।’