শুভায়ুর রহমান ও ইমামা খাতুন: আসনে বসে মঞ্চের অতিথিদের বক্তব্য শুনে কখনও হাসছেন, কখনও হাততালি দিচ্ছেন। মাঝে মাঝে পাশের সিটে বসে দর্শকদের কাছে জানতে চাইছেন অতিথি কি বললেন। শনিবার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয় পুবের কলম পত্রিকার ‘ঈদ মিলন ও ঈদ সংখ্যার পাঠ-পরিক্রমা’ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে হাওড়ার বাউরিয়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেক্রেটারি রহিমা খাতুনের সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। গত এক বছর ধরে বাংলায় রয়েছেন জার্মানির দুই তরুণী লেমা কোয়েবেল ও ম্যাক্সি ডরম্যান। এখানে একটি এনজিওতে ইংরেজির শিক্ষিকা হিসাবে পড়ান বলে জানা গেছে। সেই সুবাদে তাঁরা বাংলাও কিছুটা শিখে নিয়েছেন।
অনেক মানুষের সঙ্গে বিদেশে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পেরে খুশি তাঁরা। শুধু তাই নয়, পূর্বে জার্মানিতেও কোনওদিন ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পরব ঈদের কোনও অনুষ্ঠানে শামিল হওয়ার সুযোগ ঘটেনি বলে তাঁরা জানান।
লেমা কোয়েবেল বলেন, ভীষণ ভালো লাগছে। আলাদা কিছু দেখছি। সব ধর্মের মানুষ একজায়গায় হয়েছেন। বাংলা যতটা শিখেছি আর যা বুঝেছি তাতে খুব ভালো। আপনাদের স্বাগত জানানোর ধরনও আলাদা। তাঁরা গাড়ি থেকে নামতেই পুবের কলম কর্মীরা স্বাগত জানান। ম্যাক্সি ডরম্যান বলেন, এখানে এসে কলম পত্রিকার নাম শুনেছি। পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে কাজ করেন।’
হাওড়ার বাউড়িয়ার এনজিও ‘নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’র সেক্রেটারি রহিমা খাতুন বলেন, ওঁরা যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। অনুষ্ঠানে গিয়ে মুগ্ধ ও আপ্লুত। কোনও ঈদ মিলন অনুষ্ঠানে আগে যায়নি। এটা নতুন। প্রথম আলাদা অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। অনুষ্ঠান শেষে অন্যদের সঙ্গে আলাপ করেন। চোখেমুখে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি। লেমা কোয়েবেল, জানালেন আবার সুযোগ হলে আসবেন।