পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ পেনশনের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। প্রতিবাদে ফ্রান্স জুড়ে বিক্ষোভ, ধর্মঘট, রাস্তা অবরোধ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ফ্রান্সজুড়ে ধর্মঘট পালন করেছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। অধিকাংশ বড় বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু প্যারিসসহ বেশ কিছু শহরে প্রতিবাদ সহিংস হয়ে ওঠে।
প্যারিসে পুলিশকে লক্ষ করে প্রতিবাদকারীরা পাথর ছোড়ে। পুলিশও লাঠি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। বোর্ডোতে বিক্ষোভকারীরা সিটি হলের প্রবেশপথে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে ঐতিহাসিক হেরিটেজ ভবনের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু শহরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে, জল কামান ব্যবহার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৪৯ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ১৭৯ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যেও অনেকে আহত হয়েছেন। এক নারীর আঙুল কাটা গেছে। তিনি আরো বলেন, অতি-বামপন্থিরা এই সহিংসতার পিছনে ছিল। তারা সরকারকে ফেলতে চাইছে। পুলিশকে মারতে চাইছে। নৈরাজ্যবাদীরা এই বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
এই নিয়ে নয় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। জানুয়ারি মাস থেকে তারা সপ্তাহান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ইউনিয়নের নেতা মার্টিনেজ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নামছে। ধর্মঘটের ফলে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। ম্যাক্রোঁ পার্লামেন্টে বলেছেন, পেনশন সংস্কার জরুরি এবং দেশের স্বার্থে তা করা হচ্ছে। ইউরোপের অনেক দেশেই অবসরের বয়স ৬৫। ওই দেশগুলো আবার অবসরের বয়স আরো বাড়াতে চাইছে। ফ্রান্স এখন অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৪ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে কর্মীরা।