পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: পরিবেশ দূষণ কমাতে নানান পদক্ষেপ নিয়ে থাকে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। সেই বার্তা যে কিছুটা কার্যকর হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রায় ৩০ বছর পর কালীপুজোর রাতে কলকাতা শহরে নিয়ন্ত্রিত হল বায়ুদূষণের মাত্রা। এবারের দীপাবলিতে কলকাতার আকাশ থাকল দূষণমুক্ত। এর পেছনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আশঙ্কা কাজ করেছে বলে মত ওয়াকিফহাল মহলের। অনেকেই বলছেন, মানুষ সচেতন হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন মানুষের হাতে নগদ টাকা নেই, তাই বাজি পোড়ানোর পরিমাণ কমেছে। আর তাই দীর্ঘ ৩০ বছর পর কালীপুজোতে বায়ুদূষণ মুক্ত থাকল কলকাতা। বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পরিবেশবিদরা।
কালীপুজোর ও দীপাবলিতে কলকাতা ও নিকটবর্তী এলাকায় প্রচুর বায়ুদূষণ দেখা দেয়। বিগত বছরগুলিতে কালীপুজোর দিন রাত হলেই বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে। তা নিয়ে আগে বারবার সরব হন পরিবেশবিদরা। এ বছরও প্রথম থেকে বায়ুদূষণ নিয়ে সরব হয়েছিল পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি। তবে সরকারের তরফে নানাভাবে মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস লক্ষ করা গিয়েছিল। তাতে যে সাড়া মিলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সোমবার রাতে দেখা গিয়েছে শহর কলকাতায় বায়ুদূষণের হার গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কম ছিল।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কলকাতায় বাতাসের মানসূচক ছিল ৩৭। যা দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রানাধীন অবস্থাকে বোঝায়। হাওড়ায় এই মানসূচক ছিল ৩৬। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য মতে, কোনও অঞ্চলের বাতাসের মানসূচক ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ভালো অবস্থাকে বোঝায়।
আর বাতাসের মানসূচক ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে, তা সন্তোষজনক, আর এই মানসূচক ১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে থাকলে সেই পরিস্থিতিকে সহনীয় বলা হয়। আর এর বেশি হলে খারাপ অবস্থা বোঝায়। যেমন মানসূচক ৩০০ থেকে ৪০০-র মধ্যে থাকলে তা অতি খারাপ।