পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: সীমান্তে হাত পা বাধা যুবতীর হাতপা বাঁধা মুখপোড়া ও নলিকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয় গত ২৬ সেপ্টেম্বর। এই ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। মৃত যুবতী বাংলাদেশি, নাম সুমাইয়া আখতার বৃষ্টি। তার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার কাছে শ্যামপুরে। ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত এক দালালকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুনরাজপুর গ্রামে ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে একটি কাকরোল খেতের ধার থেকে বছর ২২ এর এক যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেখা যায় গলার নলিকাটার পাশাপাশি তার মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। কিন্তু তদন্তে নেমে ঘটনার ঠিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এক দালাল, নাম নিছার আলী মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি স্বরূপনগরের বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দীবাড়ি গ্রামে। তাকে শুক্রবার ভোররাতে গ্রেফতার করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।
বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডঃ জবি থমাস কে, এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র ও স্বরূপনগর থানার পুলিশ আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী টিম তৈরি করা হয়। তারপর এই খুনের কিনারা করতে শুরু করে। ওই যুবতীর কাছ থেকে উদ্ধার মোবাইল ফোন, পোশাক, বাংলাদেশী ঠিকানা ও রক্তের নমুনা সহ মাটি সংগ্রহ করে বসিরহাট পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের একটি দল।
বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাস কে. বলেন, “মৃত যুবতীর বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার শ্যামপুরে। মুম্বাইতে দীর্ঘদিন ধরে বিউটি পার্লারে কাজ করতো ওই যুবতী। সেখান থেকে মোটা অর্থ নিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। বিষয়টি হাই কমিশনারের সাথে আলোচনা হয়েছে। মৃত যুবতীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।”
তাহলে কি মোটা অর্থ হাতাতেই পরিকল্পনা করে তাকে খুন করা হয়েছে? খুনের মোটিভ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট পুলিশ জেলা। যুবতী খুনের সঙ্গে আরো কোন দুষ্কৃতীরা জড়িত আছে কিনা সেটাও তদন্তকারীরা একবার দেখে নিতে চাইছে। ধৃতকে শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।