পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: হেডলাইন নয়, ডেডলাইনের লক্ষ্যে কাজ করি আমি। লোকসভা ভোট পূর্বে ফের ‘নয়া ন্যারেটিভ’ সেট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯ সালে ‘চৌকিদার’ স্লোগানে ভর করে ভোট-বৈতরণী পার করেছিল কেন্দ্রের শাসকদল। তবে এখন এই স্লোগান অতীত। ঠিক যেমন ভুল করেও ‘সুদিন’ আনার স্লোগান আর মুখ থেকে বেরোয় না। ব্যাপারটা ঠিক ‘রাত গ্যায়ি বাত গ্যায়ি’র মতো। ভোট শেষ, নয়ানির্মিত স্লোগানের মেয়াদও শেষ। ভুল করেও ‘ভুল’ হয়না। তবে ২০২৪-এর স্লোগান কি? এযাবৎ বহু ‘কোট’ জমা হলেও একটি বিশেষ কোনও লাইন বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়নি। ভাবা হচ্ছে।
তবে কি মোদির নতুন স্লোগান ‘গ্যারান্টি’ ! নানাবিধ পথে দেশের উন্নয়নের যে ভাবে গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি, তাতে এই স্লোগানে ভর করেই ২৪-শে ৪০০ পারের স্বপ্ন দেখছেল মোদি, দাবি বিরোধীদের।
বলা বাহুল্য, শনিবার একটি কনক্লেভে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সামনেই লোকসভা নির্বাচন, আপনার লক্ষ্য কি? উত্তরে মোদি জানান, আপনারা ২০২৯ আটকে রয়েছেন! আর আমি ২০৪৭ সালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বিরোধী দলনেতারা আমার বিরুদ্ধে অলীক কল্পকাহিনী বুনতে ব্যস্ত। আর আমি ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার লক্ষ্যে । ভাগ্য বা প্রচারে নয়, কঠোর পরিশ্রমেই বিশ্বাসী তিনি। আজ সমগ্র বিশ্ব অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিতে আটকে পড়েছে। তবে এর মধ্যে একটি জিনিসই নিশ্চিত। তা হল, ভারত আরও দ্রুতগতিতে উন্নতি করবে। আগামী পাঁচ বছরে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।
এদিন মোদির মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রশংসাও শোনা যায়। তাঁর কথায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতেই আমাদের প্রশাসন এগোবে। তাতে বেশ কয়েকজনের পর্দা ফাঁস হচ্ছে। তাই মোদিকে নিয়ে কুৎসা করছে তারা।
অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানে বেহাল দশার মতো বিভিন্ন ইস্যুতে চাপের মুখে পড়েছে মোদি সরকার। নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাই নিজের ‘ঢাক’ নিজেই পেটাচ্ছেন।