পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিয়ে করায় সেনার চাকরি খুইয়েছিলেন নার্স। লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। নাম সেলিনা জন। ‘বিয়ে’ কে হাতিয়ার বানিয়ে কাজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সেলিনাকে। এদিন সেই মামলায় সুপ্রিম রায় যায় সেলিনার পক্ষে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট ঘটনায় কেন্দ্রকে ৬০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যেই সেই টাকা দিতে হবে বলেও জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন সাফ জানায়, বিয়ের কারণে কাউকে কাজ থেকে ছাঁটাই ‘লিঙ্গ বৈষম্যের একটি ভোঁতা মামলা’। আর আইনত অপরাধ। বিয়ে একটা পবিত্র বন্ধন। এটার সঙ্গে চিকিৎসার কোনও সম্পর্ক নেই। বিয়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে অন্তরায় না।
নিজের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট এদিন আরও বলে, ১৯৭৭ সালে সেনার তরফ থেকে একটা নিয়ম আনা হয়েছিল। সেই নিয়মানুযায়ী বিয়ে করলে মিলিটারি নার্সিং সার্ভিস থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে। তবে বিতর্কিত নিয়মটি ১৯৯৫ সালে প্রত্যাহার করা হয়। সেই নিয়মকে ঢাল করে সেলিনার বরখাস্তের কথা বলতে পারে না কেন্দ্র। তা যুক্তিসংগত নয়। বরঞ্চ দণ্ডনীয় অপরাধ।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ সেলিনাকে কাজ থেকে ছাঁটায় করা হয়। সেই সময় পেশায় নার্স সেলিনা সেনায় লেফ্টন্যান্ট পদে ছিলেন। মাঝে কেটে যায় বহু বছর। ২০১২ সালে সেলিমা সেনার ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শুনানি শেষে তাঁর পক্ষেই রায় যায়। সেলিনাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। কাজে যোগ দেওয়ার কথাও জানায়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন সেই মামলার রায় দিল শীর্ষ আদালত। লিঙ্গ-ভিত্তিক এই ধরণের পক্ষপাত ভারতীয় সংবিধান বিরোধী বলেও তোপ দাগে কোর্ট।