পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানবধিকার কর্মী নিজার বানাতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। উত্তেজনা ক্রমশ বিক্ষোভের রূপ নিয়েছে। নিজার বানাতকে হত্যার অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ নৃশংস অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে নিজার বানাতের। তাকে ঘর থেকে মারতে মারতে নিয়ে গেছে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তারক্ষীরা।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের কঠোর সমালোচনার জন্য হেব্রন শহরের ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হন মানবধিকার কর্মী নিজার বানাত। এর পরেই তার ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। তাকে জেলে পোরার পর নিজার বানাতের স্বাস্থ্য ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। সেই সময়ে তাকে হেব্রন সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানানো হয় নি। এই ঘটনা সামনে আসতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ফিলিস্তিনিরা। দফায় দফায় বিক্ষোভ চলতে থাকে। মাহমুদ আব্বাসের দফতরের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। এদিকে বিক্ষোভচলাকালীন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তায় বাহিনী তাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে।
নিজার বানাতের এক আত্মীয় জানিয়েছে, রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যখন ঘরের দরজা ও জানালা ভাঙছিলেন তখন সেই শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। সে সময় বানাতের ওপর আঘাত চালাতে থাকে তারা। জানালা ভাঙার জন্য যে লোহা ব্যবহার করেছিল সেটি দিয়েই তারা বানাতকে মারধর করতে থাকে।
পরিবারের অপর এক সদস্যের কথায়, বানাতকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখনও তিনি জীবিত ছিলেন।
এক বিবৃতিকে হেব্রনের গভর্নর জিবরিন অঅল-বাকরি বলেন, ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে বানাতকে আটক করা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করতে করতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।