পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: রাফায় অবস্থানরত এক ফিলিস্তিনি চিকিৎসক বলেছেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে ইসরাইলি বাহিনীর আসন্ন স্থল অভিযান নিয়ে লোকজন আতঙ্কিত। চিকিৎসক আহমেদ আবুবাইদ রাফায় বিরাজ করা আতঙ্কের কথা তুলে ধরেছেন সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায়। গত রবিবার মধ্যরাতের পর রাফায় দফায় দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এ হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
রাতভর ইসরাইলি বাহিনীর এই বিমান হামলাকে অবিরাম ও সর্বব্যাপী হিসেবে বর্ণনা করেছেন চিকিৎসক আবুবাইদ। আবুবাইদ বলেন, এখন রাফায় যাঁরা অবস্থান করছেন, তাঁদের মনে ঘুরেফিরে একটা প্রশ্ন আসছে; আর প্রশ্নটি হলো, ‘আমরা কোথায় যেতে পারি? আমাদের কবর ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই।’
গত সপ্তাহে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, রাফায় স্থল অভিযানের জন্য তিনি তাঁর দেশের সেনাদের প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছেন। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার অর্ধেকের বেশি এখন মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফায় অবস্থান করছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। উত্তর ও মধ্য গাজায় স্থল অভিযান চালানোর সময় তাঁদের রাফায় আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইলি বাহিনী। এখন রাফায় স্থল অভিযান চালাতে যাচ্ছে ইসরাইল। গত অক্টোবরে সংঘাত শুরুর আগে রাফায় মাত্র আড়াই লক্ষ মানুষ ছিল। সেখানকার প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় বর্তমানে ১৬ হাজার ফিলিস্তিনি গাদাগাদি করে থাকছেন। বাস্তুচ্যুত অনেক মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বা তাঁবুতে বসবাস করছেন। সেখানে সুপেয় পানি ও খাবারের সংকট রয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকারপ্রধান ভলকার টুর্ক সতর্ক করে বলেছেন, রাফায় স্থল অভিযানের ফলাফল ভয়ংকর। সেখানে বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ আছেন। তাঁদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। রাফায় স্থল অভিযান চালানো হলে অনেক বেসামরিক মানুষের নিহত ও আহত হওয়ার আশঙ্কা আছে।