পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংঘর্ষবিরোধী চুক্তি লঙ্ঘন করে ফের হিংসাত্মক আচরণ শুরু করেছে ইসরাইল। সম্প্রতি ইসারাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের পক্ষ কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে ‘অপারেশন সোর্ড অব আল-কুদস’ দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ শেষ নয়। আল-কুদস জেরুজালেম শহরের শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিন নাগরিকদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের বর্বর আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে এই হুঁশিয়ারি দিল। কারণ যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরেও ফের ইসরাইল সেনার আক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
গত মে মাসে ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালালে তার বিরুদ্ধে সেখানকার প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো গর্জে ওঠে। এই প্রতিবাদী অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সোর্ড অব আল-কুদস’।
ওই যুদ্ধের সময় গাজার প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো ইসরাইলকে লক্ষ্য করে চার হাজারের বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। এর পর ১১ দিনের মাথায় ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে। ফিলিস্তিনের শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবিরের জনগণের উপর ইসরাইলের বর্বরতার প্রতিশোধ নিতে ইসলাম জিহাদ ও হামাস এই যুদ্ধ শুরু করে।
গত বেশ কিছু দিন ধরে শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবিরে আবার ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিন বাসিন্দাদের ওপর বর্বরতা শুরু করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জিহাদ আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র খালেদ আল-বাত্স এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, যত দিন ইসরাইলিরা আমাদের ভূমি দখল করে রাখবে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের নিরন্তর সংগ্রাম চলবে। কারণ এই ভূখণ্ডের মালিক আমরা এবং এক টুকরোও জমিও আমরা তাদের ছাড়ব না।
এ দিকে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আল-কুদস শাখার মুখপাত্র মোহাম্মদ হামাদে বলেছেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে তার সংগঠন আবার লড়াই করতে প্রস্তুত রয়েছে।