পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এবার ঘরে বসেই ঈদ ও কুরবানি পালন করতে বলা হয়েছে অসমে বসবাস করা মুসলমানদের। সোমবার নয়া করোনা-বিধি ঘোষণা করতে গিয়ে অসম সরকার ঈদ-উল-আযহা তথা কুরবানি পালনের ক্ষেত্রেও বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। করোনা সংক্রমণের দোহাই দিয়ে এবার বাড়ি থেকে না বেরিয়ে ঘরে বসেই ঈদ পালনের কথা বলা হয়েছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকারের তরফ থেকে।
সোমবার কুরবানি নিয়ে নয়া নির্দেশনা ঘোষণা করেছেন অসমের মুখ্যসচিব জিষ্ণু বর্মা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে– এবারের পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় মসজিদে পাঁচজনের বেশি সমবেত হওয়া যাবে না। নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তি। আগামী বুধবার ঈদ-উল-আযহা। তার আগে মঙ্গলবার থেকে নতুন নিয়ম জারি হতে চলেছে অসমে।
অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত জানিয়েছেন– সম্প্রতি সংক্রমণ কিছুটা কমলেও এখনই চিন্তামুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। তাই সবাইকে সতর্ক থেকেই উৎসব পালন করতে হবে। তিনি রাজ্যের মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন– এবার ঈদ ও কুরবানি পালন করুন ঘরে বসেই।
লক্ষণীয় বিষয় হল, গোলাঘাট– জোরহাট– লখিমপুর– শোনিতপুর– বিশ্বনাথ মুসলিম অধ্যুষিত এই পাঁচ জেলায় ঈদের দিন পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে জারি থাকবে ১২ ঘণ্টার কারফিউ। এই সপ্তাহ ধরেই বন্ধ রাখা হয়েছে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত।
অন্যদিকে– কুরবানির জন্য এবার কোনও গরুর হাট বসেনি অসমের কোনও জেলাতেই। সীমান্ত এলাকা থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনওভাবেই গরুর বাজার বসানো যাবে না। বিগত পাঁচ বছর ধরেই কেন্দ্র সরকারের কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেইমতো সীমান্ত অঞ্চলে মুসলিম প্রধান এলাকাগুলিতে এবারও বসেনি কোনও পশুর হাট। করিমগঞ্জে রবিবার একটি হাটে হানা দিয়ে পুলিশ ১৬টি গরু বাজেয়াপ্ত করেছে। যা বাজারদর ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার মতো। ফলে এবার কুরবানি নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন অসমের মুসলিমরা। বিশেষ করে সম্প্রতি অসম বিধানসভায় গো-সংরক্ষণ বিল পেশ হওয়ার পর অন্য রাজ্য থেকেও কুরবানির পশু আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।