পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশে অতি মহামারি পরিস্থিতিতে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মঙ্গলবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এক মাস সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়েছে, ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা সব রাজ্যকে বাস্তবায়ন করতে হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে। অতিমারি পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবেই রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
একইসঙ্গে অতিমারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে রেশন মারফত শুকনো খাবার দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ৩ সমাজকর্মীর আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে এদিন৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অতিমারি পরিস্থিতিতে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েছেন৷ নিজ রাজ্যের অন্য জায়গায় কাজ করতে গিয়েও রেশনের সমস্যা হচ্ছে৷ তাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজের জায়গাতেও মিলবে রেশন৷
এক মাসের মধ্যে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পোর্টালের মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকাভুক্ত করে তাদের ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, করোনা অতিমারির এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কমিউনিটি কিচেন চালাতে হবে। অতি মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কমিউনিটি কিচেনে খাবার পাবেন শ্রমিকরা। এছাড়া তাদের জন্য অতিরিক্ত রেশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য সুরক্ষা, নগদ স্থানান্তর, পরিবহণ সুবিধা এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির প্রতি নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে আবেদন করেছিলেন কয়েকজন সমাজকর্মী৷ এদিন তারই শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে৷ আবেদনকারীর মধ্যে অঞ্জলি ভরদ্বাজ, হর্ষ মন্দার এবং জগদীপ ছোকর সুপরিচিত নাম। তাদের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে আর একমাসের মধ্যে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷