পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কৃষক বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত পঞ্জাব-হরিয়ানা বর্ডার। এই নিয়ে তৃতীয়বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কৃষকেরা। বিকেল ৫ টায় চণ্ডীগড়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা।
মঙ্গলবার সকালে কৃষকেরা ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দেয়। কৃষকদের রুখতে পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে দেয়। কার্যত দুর্গের চেহারা নেয় দিল্লি। বার বার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজধানী।
মঙ্গলবার কৃষক মিছিল রাজধানীতে প্রবেশ করার আগেই আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। পঞ্জাব-হরিয়ানা শম্ভু সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়েন পুলিশ। ধোয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা। ব্যাপক বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দুপক্ষের মানুষ আহত হয়। পঞ্জাব-হরিয়ানা এবং দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় বিশাল ব্যারিকেড তৈরি করে দিল্লি পুলিশ। রাস্তায় লোহার পেরেক বসানো থেকে কাঁটাতারের বেড়াও দেওয়া হয়।
শম্ভু সীমান্তে কৃষকরা তাদের ট্রাক্টর-ট্রলি নিয়ে রাস্তার সারিবদ্ধভাবে রয়েছে, দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে তারা।
উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান থেকে এদিনও দলে দলে কৃষকরা এসে যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনে। ৫০০জন মহিলা কৃষকের একটি দলও শম্ভু সীমান্তে এসে পৌঁছেছে। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁদের ভাইরা যে লড়াই চালাচ্ছেন তাকে সমর্থন জানাতে তাঁরা এসেছেন। সবমিলিয়ে এক ‘মহাসংগ্রাম’ শুরু করে দিয়েছেন কৃষকরা। দিল্লি পৌঁছাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে শম্ভু বর্ডারের কাছে বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছেন তাঁরা।
বুধবারও কৃষকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, রবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। কৃষকরা যাতে ব্যারিকেডের কাছে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য এই কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট, স্মোক বোম নিক্ষেপ করে হরিয়ানা পুলিশ। এদিকে, হরিয়ানা পুলিশের ড্রোনের জবাব দিতে ঘুড়ি ওড়াতে শুরু করেছেন কৃষকরা। ঘুড়ি দিয়ে ড্রোনকে ‘ভোকাট্টা’ করে দিতে চাইছেন তাঁরা। আর কাঁদের গ্যাসের পালটা প্রতিরক্ষা হিসেবে জলের বোতল, ভিজে কাপড়, চোখ ঢাকা চশমা নিয়ে এসেছেন তাঁরা। পুলিশি প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে তাঁরা নারাজ।