পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শুরু হল পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সিয়াম পালন করবে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানুষেরা। দিন হোক কিংবা রাতে বিভিন্ন ওয়াক্তের নামায ও ইফতারে মহল্লার মসজিদ গুলি মুসল্লিদের আনাগোনা বাড়বে।
তাই রাজারহাট-নিউ টাউনের শহর ও গ্রামীন বিস্তীর্ণ দুই অঞ্চলের নারায়ণপুর, আটঘরা, কৈখালী, নবাবপুর, মোহাম্মদপুর, বালিগড়ি, লাউহাটি-সহ একাধিক এলাকার মসজিদ গুলির সামনে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী ছাউনি। আবার কোথাও কোথাও খারাপ পানীয় জলের মেশিন এবং অজুখানার পানির লাইন মেরামতি করে তুলেছে কমিটি। রোজাদারদের কথা ভেবে মুসলিম অধ্যুষিত ওয়ার্ড হিসাবে ভূগর্ভস্থ পানীয় জল পরিষেবার সময়সীমা বাড়িয়েছে বিধাননগর পুরনিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি।
ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর আজিজুল হোসেন মন্ডল জানান, বছরের এমনি সময় বিকালের পর্যায় রোজই ৪ টে থেকে ৫.৩০ মিনিট পর্যন্ত পানীয় জল পান বাসিন্দারা। রোমজান মাস উপলক্ষে সেই সময় বাড়িয়ে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত পাম্প চালু রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, খামখেয়ালি আবহাওয়ায় এই রৌদ্র, তো এই বৃষ্টি। জোড়া সমস্যায় মুসল্লিদের রক্ষা করতে আটঘরার পূর্বপাড়ার মসজিদে সামনের বিরাট একটি অংশে বাঁশ ও ত্রিপোলের অস্থায়ী ছাউনি দেওয়া হয়েছে। একই অস্থায়ী ছাউনির ছবি দেখা গেছে লাউহাটি, ঘুনী, বালিগড়ি এলাকার কয়েকটি জামে মসজিদে।
আবার জানা গেছে, নিউ টাউন লাগোয়া শীলপোতা ও মোহাম্মদপুরের কয়েকটি মসজিদে পরিশ্রুত পানীয় জলের মেশিন সারাইয়ের কাজ হয়েছে। যাতে ইফতারের সময়ে সেই পানী পান করতে পারেন রোজাদার ব্যক্তিরা। এমনিতেই বছরের অন্যান্য সময়ে অধিকাংশ মসজিদ গুলিতে ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিন নিয়মিত চলে। কিন্তু রোজার মাসে সেখানকার পানীয় জলের মেশিন বেশি ব্যবহৃত হবে। সেই ভাবনায় মসজিদ কমিটি পানীয় জলের মেশিনগুলি সংস্কার ও সার্ভিসিং সেরে নিলেন। এরই সঙ্গে, বেশ কয়েকটি মসজিদে অজুখানার কলও সারাই হয়েছে। রাজারহাট নিউটাউন ইমাম-ওলামা পরিষদের ডাইরেক্টর ক্বারী মুহাম্মদ জাবিদ আলি বলছেন, পবিত্র রমজান মাসে মুসুল্লিদের আনাগোনা বাড়ে মসজিদে। তাই সেখানে অস্থায়ী ছাউনি বা পানীয় জল পরিষেবা ঠিক হওয়া দরকার ছিল।