পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব স্বীকৃত ব্র্যান্ড হল ‘বিশ্ব বাংলা’ ব্র্যান্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় এবং তাঁরই হাতে জন্ম নেওয়া লোগোর মাধ্যমে এখন রাজ্য সরকারের সব দফতরের ও প্রকল্পগুলির কাজকর্ম হয়। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন এই ব্র্যান্ড বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক। তাঁর সেই স্বপ্নের পথ চলা শুরু হচ্ছে ১৪৩০ বঙ্গাধের প্রথম দিন থেকেই। অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ থেকেই। ভারতের বাইরে এই প্রথম পা রাখতে চলেছে ‘বিশ্ব বাংলা’ ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের পণ্যের প্রচারের জন্য প্রথম অংশীদার হল ব্রিটেনের জনপ্রিয় বাঙালি সংগঠন। এদিন থেকেই এই সংগঠনের হাত ধরে লন্ডনের বুকে যাত্রা শুরু করতে চলেছে ‘বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ড’।
এখন বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডের অধীনে রাজ্যের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগে তৈরি হস্তশিল্প এবং টেক্সটাইল সামগ্রী বিক্রি হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিশ্ব বাংলা-র বিপণী রয়েছে। সেখানে রাজ্যের উৎপাদিত উন্নতমানের বিভিন্ন হস্তশিল্প ও টেক্সটাইল সামগ্রী বিক্রি হয়। দেশের নানা শহরেও শো-রুম রয়েছে ‘বিশ্ব বাংলা’র বিপণী। সেখানে মেলে বাংলার নলেন গুড় থেকে মিষ্টি দই, শাড়ি থেকে ধুতি, তাঁর থেকে মসলিন। ভারতের বাইরেও বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাঙালিরা। ব্রিটেনের বুকেও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি থাকেন। তাই, সেখানেও যেমন এদিন বাংলা নববর্ষ ঐতিহ্য ও রীতিনীতি মেনে জাঁকজমক সহকারেই পালিত হচ্ছে তেমনি রীতিমত বাঙালি খানাপিনার আসরও বসছে। সব থেকে বড় কথা লন্ডনের বুকে বসবাস করা বাঙালিদের মধ্যে বাংলার নিজস্ব জিনিসের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। সেই চাহিদাই এবার পূরণ হতে চলেছে বিশ্ব বাংলা বিপণির মাধ্যমে।
জানা গিয়েছে ‘হেরিটেজ বাংলা গ্লোবাল’র তরফে এবারে লন্ডনের বুকে বাংলা নববর্ষের উদযাপন হবে ২২ এপ্রিল, সেখানকার সালভাটোরিয়ান কলেজে। সেখানেই প্রথম ‘বিশ্ব বাংলা’র সামগ্রী প্রদর্শিত হবে। যদিও কোনও সামগ্রীই বিক্রি করা হবে না। ‘হেরিটেজ বেঙ্গল গ্লোবাল’-এর প্রতিষ্ঠাতা অনির্বাণ কুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এইচবিজি পরিবারে বিশ্ব বাংলাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।’ নববর্ষ উদযাপনের এই অনুষ্ঠানে দেখানো হবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় অভিনীত বাংলা ছবি ‘ঘরে ফেরার গান’। এরপর আলোচনায় অংশ নেবেন চলচ্চিত্র পরিচালক অরিত্র সেন।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রাজ্যের ছোট ও মাঝারি শিল্পদফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানিয়েছেন, ‘এটা মুখ্যমন্ত্রীরই স্বপ্ন। বাংলার ঐতিহ্যকে সারা বিশ্বে তুলে ধরা। সেটাই আমরা করছি। আগামী দিনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও বিশ্ব বাংলার নানাবিধ সামগ্রী প্রদর্শন করা হবে।’