পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পর সহবাসে অসম্মতি মানসিক নিষ্ঠুরতার পরিচয়, এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিভোর্স পেতে পারবেন স্বামী-স্ত্রী, এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানালো মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, স্ত্রী সহবাসে অসম্মতি জানালে, সেই কারণ দেখিয়ে বিবাহ-বিচ্ছেদ পেতে পারেন স্বামী।
আদালতের বিচারপতি শীল নাগু ও বিনয় শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ গত ৩ জানুয়ারি এক ব্যক্তির বিবাহবিচ্ছেদ মামলা মঞ্জুর করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ পালন করেননি, ২০০৬ সালে ওই দম্পতির বিয়ের হয়। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক সম্পর্ক পালনে অসম্মতি জানিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী। এই যুক্তিতেই বিবাহ-বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। হাইকোর্ট মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ রূপে পালন না করা ও শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অস্বীকার মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান’।
মামলায় ওই ব্যক্তির দায়ের করা আবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু স্ত্রী তার পর থেকেই তার সঙ্গে শারীরিক স্থাপনে অনীহা প্রকাশ করেন। মহিলার দাবি ছিল, তাকে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে। তিনি স্বামীকে জানিয়েছিলেন, তিনি অন্য কাউকে ভালোবাসে। তাকে তার প্রেমিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি স্বামীকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন।
ওই ব্যক্তি আদালতে জানান, তিনি ওই মাসেই কাজের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে তার স্ত্রী নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে যান। আর শ্বশুরবাড়িতে আসেননি। এর পর ২০১১ সালে ওই ব্যক্তি বিবাহ-বিচ্ছেদের জন্য ভোপালের একটি পারিবারিক আদালতে আবেদন করেছিলেন। ২০১৪ সালে তার আবেদন পারিবারিক আদালত খারিজ করে দেয়। এর তিনি এই মামলা নিয়ে যান হাই কোর্টে।
উচ্চ আদালত তার আদেশে বলেছে, বেশ কয়েকবার ওই মহিলা বৈবাহিক সম্পর্ক পালন করতে, স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকার করেছিলেন। আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আদালতের মতে কোনও ধরনের শারীরিক অক্ষমতা বা বৈধ কারণ ছাড়া ক্রমাগত সহবাসে আপত্তি জানালে তা মানসিক নিষ্ঠুরতার পরিচয়।
পারিবারিক আদালতের নির্দেশ খারিজ নিয়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, বিবাহকে পরিপূর্ণ করতে স্ত্রী’র ব্যর্থতা বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে না জানিয়েছিল নিম্ন আদালত, কিন্তু সে কথা ঠিক নয়।