পারিজাত মোল্লা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারের বরখাস্তের নোটিস সংক্রান্ত মামলা। যদিও এই মামলাটি শুনানির কথা ছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। বিচারপতি চন্দ না থাকায় এদিন এটি বিচারপতি বসুর এজলাসে উঠে। এদিন বরখাস্তের নোটিশে তিন সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গেছে, ডিএ আন্দোলনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারকে। এদিন আদালতের নির্দেশে স্বস্তি পেলেন তিনি। গত ১০ মার্চ সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটে শামিল হওয়ার কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল যৌথ মঞ্চের তরফে। আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ধর্মঘটে সামিল হওয়া কর্মীদের পুরো বেতন দিয়েছেন ও সেদিনের উপস্থিতির তালিকাও অর্থ দফতরে পাঠাতে অসহযোগিতা করছেন।
এক কথায়, সরকারি নির্দেশনামা উপেক্ষা করেছেন তিনি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাঁকে বরখাস্তের নোটিস দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তী।
পরবর্তীতে আসানসোল থানায় রেজিস্ট্রার-সহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়। পরবর্তীতে উপাচার্যের বরখাস্তের এই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রেজিস্ট্রার। তাঁর দাবি, বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। এদিন এই মামলার শুনানিতে রেজিস্ট্রারকে স্বস্তি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বরখাস্তের নির্দেশের ওপর ৩ সপ্তাহের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু।তিন সপ্তাহের পর এই মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে উঠবে।