পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান, জাপানি তথ্যচিত্র নির্মাতা তরু কুবতা ও অং সান সুকির প্রাক্তন আর্থিক উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক শন টারনেলসহ ছয় হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মায়ানমারের জান্তা সরকার।২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করা হয়। অং সান সুকির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বিভিন্ন সময়ে অনেক দেশি-বিদেশি নাগরিককে সরকার বিরোধিতার অভিযোগে আটক করে জান্তা সরকার। মায়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বোম্যান ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মায়ানমারে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেন। এরপর এক মায়ানমারের নাগরিককে বিয়ে করে সেখানেই থাকা শুরু করেন।
বোম্যানের বিরুদ্ধে ভিসা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে এবং তাকে আটক করে জান্তা সরকার। এদিকে অভ্যুত্থানের পরপরই ইয়াঙ্গুন থেকে আটক করা হয় অস্ট্রেলীয় নাগরিক শন টারনেলকে। অভ্যুত্থান শুরুর কয়েকদিন পর অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। পরে বিভিন্ন অভিযোগে টারনেলকে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে, চলতি বছরের ২৬ জুলাই ইয়াঙ্গুনে জান্তা সরকার-বিরোধী সমাবেশ চলাকালে আটক হন জাপানি তথ্যচিত্র নির্মাতা তরু কুবতা।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ও যোগাযোগ আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির সামরিক আদালত। জানা যায়, আটক হওয়ার মাসেই প্রথমবারের মতো মায়ানমার আসেন কুবতা। পরে স্থানীয় এক নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে তথ্যচিত্র বানানোর কাজ শুরু করেন। ইউনেস্কো জানায়, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমারে অন্তত ১৭০ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭০ জন এখনও দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি আছেন। ক্ষমতায় বসার পর থেকেই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে শুরু করে।