তিরুবন্তপুরম, ৪ মার্চ: শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। অপেক্ষা শুধু নির্ঘণ্ট প্রকাশের। কোমর বেঁধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি ও বিরোধীরা। তার আগেই লোকসভা ভোটের জন্য প্রথম ধাপে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এই তালিকায় রয়েছে একজন মাত্র মুসলিম প্রার্থী। নাম আবদুল সালাম। ২০টির মধ্যে কেরলের ১২ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা। তার মধ্যে অন্যতম মলপ্পুরম আসন। এই কেন্দ্রের প্রার্থী আবদুল সালাম। প্রশ্ন উঠছে কে এই আবদুল সালাম?
কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই ভাইস চ্যান্সেলর বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। মূলত, কেরলের তিরুরের বাসিন্দা তিনি। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন আবদুল সালাম। তার লিঙ্কড-ইন প্রোফাইল অনুসারে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি জীববিজ্ঞানে ১৫৩টি গবেষণা পত্র, ১৪টি পর্যালোচনা নিবন্ধ এবং ১৩টি বই প্রকাশ করেছেন। এরপর ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর ২০২১ সালে ১৩১ নেমোম কেন্দ্র থেকে কেরলের বিধানসভা ভোটে লড়েন আবদুল সালাম। সেবারের ভোটে নিজের স্থাবন অস্থাবর সম্পত্তির কথা জানিয়ে আবদুল সালাম জানান, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬.৪৭ কোটি টাকা। তাঁর বিরুদ্ধ কোনও অপরাধমূলক অভিযোগ রেজিস্টার করা নেই।
বলা বাহুল্য, এবারের ভোট যুদ্ধে ৩৭০ পার আসন দখলের লড়াইকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বিজেপি। এই আসন দখলের রোডম্যাপে তাদের অন্যতম নজর রয়েছে দাক্ষিণাত্যে। দেশের অন্যান্য রাজনীতিতে বিজেপির জমি পোক্ত হলেও, দক্ষিণে এখনও টালমাটাল পরিস্থিতি। দক্ষিণের রাজনীতিতে জমি পোক্ত করতে নানা কৌশল আঁটছে বিজেপি। এই আবহে শনিবার কেরলের বহু কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে পদ্ম শিবির। বরাবরই ‘মুসলিম বিদ্বেষী’ তকমা জুটেছে পদ্ম শিবিরের।
সংখ্যালঘুদের সঙ্গে অবিচার করার বিস্তর সমালোচনা করেছে কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল। এ মত অবস্থায় একমাত্র মুসলিম প্রার্থী দিয়ে বাজিমাত করতে পারবে কি বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন। কেরলে বিজেপি আলাদা করে ফোকাস যে বাড়িয়েছে,তা এই ১৯৫ জনের প্রার্থী তালিকা থেকে স্পষ্ট। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে কংগ্রেসের হেভিওয়েট শশী থারুরের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় আইটি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরন। দুই প্রার্থীই শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে উচ্চস্তরীয়। দেশের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে কেরলের সাফল্যের খতিয়ান কারোর অজানা নয়। সেই জায়গা থেকে শশীকে মাত দিতে রাজীবকে ময়দানে নামিয়ে কেরলের ভোট যুদ্ধ ঘিরে টানটান উত্তেজনা ধরে রেখেছে বিজেপি।